Advertisement
Advertisement

Breaking News

গবেষণা ছেড়ে হিজবুলে যোগ, পড়ুয়াকে বহিষ্কার আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের

গবেষকের ঘর সিল, মিলল তথ্য।

AMU expels Kashmiri scholar who joined Hizbul
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 9, 2018 3:07 am
  • Updated:January 9, 2018 3:18 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পড়াশোনা ভুলে হিজবুল মুজাহিদিনে নাম লিখিয়েছে তরুণ গবেষক। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই এই ছবি পোস্ট করেছিল মান্নান বশির ওয়ানি। যা নজরে আসতে ওয়ানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। ওই গবেষক বহিষ্কার করা হল। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ঘরও সিল করে দেওয়া হয়েছে।

[কাশ্মীরে ফের বিপথগামী যুব প্রজন্ম, হিজবুলে যোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকের]

Advertisement

 

Advertisement

আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাপ্লায়েড জিওলজিতে পিএইচডি করছিল ওয়ানি। কয়েক দিন আগে ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার নাম করে সে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারায় তার বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে তাদের চোখে আসে ওয়ানির একটি পোস্ট। ওই তরুণ গবেষক পোস্টে লেখে সে যোগ দিয়েছে হিজবুল মুজাহিদিনে এবং তার হাতে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রও দেখা যায়। এরপরই কড়া পদক্ষেপে হাঁটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক জানান, জঙ্গি দলে নাম লেখানোর জন্য ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে গবেষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই শাস্তি হিসাবে জানানো হয় ওয়ানির কাণ্ড কারখানা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করছিল। পাশাপাশি ওই গবেষক নিয়ম এবং শৃঙ্খলা ভেঙেছে। আর কখনই তাকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্য কোথাও ঢুকতে দেওয়া হবে না। ওয়ানি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ঘরে থাকত উত্তর প্রদেশ পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালায়। এরপর ঘরটিকে সিল করে দেওয়া হয়। সেখান থেকে মেলে বেশ কিছু নথি।

[কেন্দ্রের ডিগবাজি, এবার সিনেমা হলে জাতীয় সংগীত বাধ্যতামূলক না করার আরজি]

প্রতিভাবান ওয়ানির এই ভোল বদলে হতবাক তার বন্ধুরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি প্রোগামে পাঠরত ওই যুবক গতবছর কাশ্মীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে পেপার সাবমিট করে পুরস্কৃতও হয়। বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে গত কয়েক মাসে তরুণ প্রজন্মের জঙ্গি দলে নাম লেখানোর প্রবণতা বেড়েই চলেছে। সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন মান্নান বশির ওয়ানি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জঙ্গি দলের চাঁইরা কখনও ধর্মের নামে, কখনও আবার টাকার লোভ দেখিয়ে প্রতিভাবান যুবকদের লস্কর, হিজবুল ও জইশের মতো জঙ্গি সংগঠনের দিকে টেনে আনছে। ওই একই পদ্ধতিতে মান্নানকেও জঙ্গিদের দলে নাম লেখাতে বাধ্য করা হয়েছে কি না, তদন্ত করে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু এই প্রবণতাকে মোটেও হালকাভাবে দেখছেন না গোয়েন্দারা। বশিরের এই কাণ্ডে হতবাক তার পরিবারও। এমন কিছু সে যে করতে পারে তা ঘূণাক্ষরে টের পায়নি গবেষকের পরিজনরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ