Advertisement
Advertisement

Breaking News

Amit Shah

‘অশিক্ষিত নাগরিক দেশের জন্য বোঝা’, মন্তব্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর

পরিসংখ্যান বলছে, এখনও দেশের ৩০ শতাংশের বেশি মানুষ নিরক্ষর।

An illiterate person is a burden on the nation, says Amit Shah | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:October 11, 2021 5:30 pm
  • Updated:October 11, 2021 5:47 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অশিক্ষিত নাগরিক (Illiterate person) মানেই দেশের জন্য বোঝা। এমনটাই মনে করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)! কেন্দ্রের সদ্য লঞ্চ করা সংসদ টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলছেন, “অশিক্ষিতরা কখনওই নাগরিক হিসাবে ভাল হতে পারেন না।”

সংসদ টিভির সাক্ষাৎকারে শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে অমিত শাহ মন্তব্য করেছেন,”একজন অশিক্ষিত ব্যক্তি দেশের জন্য বোঝা। কারণ তিনি জানেন না সংবিধান তাঁকে কী কী অধিকার দিয়েছে। তেমনই তিনি জানেন না দেশের প্রতি তাঁর কী কী দায়িত্ব এবং কী কী কর্তব্য। এই ধরনের ব্যক্তি কীভাবে একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হতে পারেন?” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) প্রশাসক হিসাবে শুরু থেকেই শিক্ষার গুরুত্ব বোঝেন। তাই তাঁর সরকার শিক্ষাক্ষেত্রকে প্রাথমিক গুরুত্ব দেয়।

Advertisement

An illiterate person is a burden on the nation, says Amit Shah

Advertisement

 

 

[আরও পড়ুন: ‘দাবি যুক্তিহীন’, ভারতকেই দায়ী করে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ভেস্তে দিল চিন]

কিন্তু অমিত শাহর এই শব্দচয়ন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন শব্দচয়নের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে পারতেন শাহ। কারণ, কেউ অশিক্ষিত হলেও তিনি দেশের নাগরিক। নাগরিক হিসাবে আর পাঁচজন শিক্ষিতের মতোই সম্মান পাওয়ার অধিকার আছে তাঁর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্য সেই নাগরিকদের জন্য অপমানজনক। বস্তুত সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী ভারতের ৩০ শতাংশেরও বেশি মানুষ নিরক্ষর। এঁদের অনেকেই পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে পড়াশুনো করতে পারেননি। অনেকের এলাকায় আবার শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি।

[আরও পড়ুন: উৎসবের দিনেও স্বস্তি নেই, ফের ঊর্ধ্বমুখী পেট্রল-ডিজেলের মূল্য, জানেন কলকাতায় দাম কত?]

প্রসঙ্গত, ওই একই সাক্ষাৎকারে অমিত শাহর করা আরও একটি মন্তব্যে নেটদুনিয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন কম। বেশি শুনতে পছন্দ করেন। কোনও বৈঠকে যদি কোনও সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়, তা হলে মোদিজি সেই আলোচনায় কথা কম বলেন, উল্টে ধৈর্য সহকারে শোনেন বেশি। তার পরে সিদ্ধান্ত নেন। দু’-তিনটি বৈঠকের পরে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নেন।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ