অন্ধ্রতে সিবিআইকে ‘নিষিদ্ধ’ করলেন চন্দ্রবাবু, সমর্থন মমতার

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে এবার কার্যত সম্মুখ সমরে নামলেন চন্দ্রবাবু নায়ডু৷ অন্ধ্রপ্রদেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের প্রবেশাধিকার কার্যত ‘নিষিদ্ধ’ করলেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷ শুক্রবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রশাসন৷ যেখানে স্পষ্ট বলা হয় যে, এবার থেকে ওই রাজ্যে নিজেদের মর্জি মতো তল্লাশি চালাতে পারবেন না সিবিআই আধিকারিকরা৷ প্রবেশের আগে নিতে হবে রাজ্য সরকারের অনুমতি৷

[কংগ্রেসের অন্দরে তীব্র অসন্তোষ, রাহুলের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মীদের]

Andhra Pradesh CM Chandrababu Naidu has done the right thing in saying that he won’t allow Central Bureau of Investigation (CBI) in his state: West Bengal CM Mamata Banerjee pic.twitter.com/OZVATm6mP7

Advertisement

— ANI (@ANI) November 16, 2018

তবে এমন কোনও নির্দেশিকার প্রতিলিপি তাঁদের হাতে আসেনি বলে জানিয়েছেন সিবিআই অধিকর্তারা৷ অন্ধ্র প্রশাসনের এই নির্দেশিকা আদৌ মানবেন কিনা সিবিআই আধিকারিকরা, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল৷ এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করে পরবর্তী কালে সিবিআই আধিকারিকরা আইনি পথ বেছে নিতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে৷ তবে চন্দ্রবাবুর এই ঘোষণার পরই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি বিরোধী জোটের আরও এক রথী তথা এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও সিবিআইয়ের সমালোচনা করেন তিনি৷ চন্দ্রবাবুকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “অন্ধ্রপ্রদেশে সিবিআইয়ের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে একদম সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উনি৷ সিবিআই, ইডিকে নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি৷” প্রথমে চন্দ্রবাবু নায়ড়ুর ঘোষণা, তারপরে তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন৷ এই দুই ঘটনার পরেই মুখ খুলেছে বিজেপি৷ টিডিপি ও তৃণমূলের দুই হাইকমান্ডকে একসঙ্গে আক্রমণ শানালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা৷ অন্ধ্রপ্রদেশ প্রশাসনের এই নির্দেশিকাকে অবৈধ বলে দাবি করেন তিনি৷ রাজ্যের শাসকদলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, এইভাবে চিটফান্ড তদন্তের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না৷ রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির অভিযোগ, বিভিন্ন দুর্নীতি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যই এনারা সিবিআইয়ের বিরোধিতায় নেমেছে৷

[জেহাদি নিশানায় আরএসএস শাখা, উত্তর ভারতে সক্রিয় জঙ্গি মুসা]

উল্লেখ্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে মহাজোট গড়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে মোক্ষম ধাক্কা দিতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিরোধীরা৷ যাতে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু ও এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আগামী ১৯ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কলকাতায় আসছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী৷ একান্তে তিনি বৈঠক করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে৷ আগামী লোকসভা নির্বাচনে যাতে তৃণমূল কংগ্রেস মহাজোটের অন্তর্ভুক্ত হয় সেজন্য সমর্থন চাইবেন দলনেত্রীর৷ জানা গিয়েছে এরপরেই আগামী ২২ ডিসেম্বর রাজধানীতে বৈঠকে বসতে চলেছেন মহাজোটের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে এমন দলগুলির সমস্ত শীর্ষ নেতারা৷ কেবল মমতাই নন, বিএসপি নেত্রী মায়াবতীকেও এই জোটে শামিল করতে চাইছেন তিনি৷ গত মাসের ২৭ তারিখ মায়াবতীর নয়াদিল্লির বাসভবনে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠকও করেছেন টিডিপি প্রধান৷ সম্প্রতি ডিএমকে নেতা স্টালিন ও শীর্ষ কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলটের সঙ্গেও বৈঠক করেন চন্দ্রবাবু৷ তারও আগে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ, জেডিএস নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে তাঁর৷