BREAKING NEWS

১৭ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  বৃহস্পতিবার ১ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

বিমানবন্দরে মহিলা যাত্রীর ক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, ভিডিও ভাইরাল

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: November 22, 2017 1:42 pm|    Updated: September 22, 2019 7:31 pm

Angry passenger shouts at Union Minister KJ Alphons at Imphal Airport

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিমান ছাড়তে দেরি হওয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কে জে আলফন্সের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন এক যাত্রী। অজ্ঞাতপরিচয় এই মহিলা যাত্রীকে যখন বোঝানোর চেষ্টা করতে যান মন্ত্রী তখন আরও রেগে যান তিনি। মঙ্গলবার ইম্ফল বিমানবন্দরের এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। নেটিজেনরা এই ঘটনায় ওই মহিলার পাশেই দাঁড়িয়ে জনপ্রতিনিধিদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কী কারণে বিমান ছাড়তে দেরি হয়েছিল, মন্ত্রীর জন্য নাকি অন্য কারণে হয়েছিল তা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। পরে জানা যায়, রাষ্ট্রপতির আগমনের জন্য ইম্ফল বিমানবন্দরে তিনটি বিমান ছাড়তে দেরি হয়। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ভিআইপি সংস্কৃতি নিয়ে নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা জনপ্রতিনিধিদের তুলোধোনা করতে শুরু করে দিয়েছেন।

ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ওই মহিলা মন্ত্রী আলফন্সের উপর চেঁচামেচি করছেন। বিমান ছাড়তে দেরি হওয়ায় কাঁদো কাঁদো অবস্থায় তিনি বলছেন, তাঁকে দুপুর ২.৪৫ মিনিটের মধ্যে পাটনায় পৌঁছতে হত। তাঁর পরিবার সেখানে অপেক্ষায় রয়েছে। একটি মৃতদেহ নাকি বাড়িতে রাখা রয়েছে এবং সেটিতে পচন ধরে গিয়েছে। তিনি ডাক্তার বলে নিজেকে পরিচয় দেন। তখনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিমান ছাড়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করতে যান। কিন্তু রেগেমেগে ওই মহিলা বলেন, এই কথা মন্ত্রী কাগজে লিখে দিক। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই সেই ভিডিওটি টুইট করে। পরে আরও একটি টুইটে তারা জানায়, ঘটনার দিন কোনও বিমান বাতিল হয়নি। তিনটি বিমান রাষ্ট্রপতির কারণে দেরিতে ছাড়া হয়। মহিলাকে শান্ত করার অনেক চেষ্টা করেন মন্ত্রী, কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয়েছে।

খোদ প্রধানমন্ত্রী যখন দেশে ভিআইপি সংস্কৃতি দূর করতে উঠেপড়ে লেগেছেন, সেখানে নেতা-মন্ত্রীরা তা পাত্তা দিচ্ছেন কই! ভিআইপি সংস্কৃতির জেরে দেশের আম জনতা নাজেহাল তবুও হুঁশ ফিরছে না রাজনীতির ধ্বজাধারীদের। এমনই এক ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে পড়ল জনপ্রতিনিধিদের নৈতিকতা। এমনই মন্তব্য নেটদুনিয়ায় আছড়ে পড়েছে এই ইস্যুতে। তবে পরে আলফন্স জানিয়েছেন, ‘দেশে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কোনও মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধির কারণে বিমান দেরি করে ছাড়ার নিয়ম নেই। এবার কেন ওই মহিলা এমন আচরণ করলেন তা খতিয়ে দেখতে হবে। উনি আমার উপর নিজের রাগ মিটিয়েছেন, আমার কথা শুনতে কোনও আপত্তি নেই।’ এরপর মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটা কোনও বড় ইস্যুই নয়। আমি দেখতে পাই, ওই মহিলা অত্যন্ত বিপর্যস্ত। তখন আমি ওনার সঙ্গে কথা বলতে যাই। উনি পাটনায় একটি অন্ত্যেষ্টিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। ওনাকে বোঝাই, যখন রাষ্ট্রপতির বিমান অবতরণ করে তখন অন্য বিমান ছাড়া যায় না।’

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে