সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় সংগীত চলাকালীন উঠে দাঁড়ানোর পক্ষে ব্যাট ধরলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা অনুপম খের। রবিবার পুনেতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে খের প্রশ্ন তোলেন, রেস্তরাঁ বা সিনেমা হল, পার্টিতে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে পারলে জাতীয় সংগীত শুনে কেন পারবেন না? খের এদিন পুনেতে বিজেপি নেতা প্রমোদ মহাজন মেমোরিয়াল পুরস্কার নিতে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে পুরস্কৃত হন তিন তালাকের বিরুদ্ধে আদালতে মূল মামলাকারী শায়রা বানো।
যাঁরা জাতীয় সংগীত চলাকালীন উঠে দাঁড়ানোর বিরোধী, তাঁদের একহাত নিয়ে অনুপম খের বলেন, ‘অনেকের মতে জাতীয় সংগীত চললে উঠে দাঁড়ানোটা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু আমার কাছে এমনটা নয়। আমি মনে করি জাতীয় সংগীত শুনে উঠে দাঁড়ানোর মধ্যে দিয়ে একজন ব্যক্তি কী শিক্ষা পেয়ে বড় হয়েছেন, সেটা বোঝা যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাড়ির বড়দের সামনে, যেমন নিজের পিতাকে দেখলে উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান জানাই। ঠিক সেভাবেই জাতীয় সংগীতের সময় উঠে দাঁড়ালে দেশের প্রতি সম্মান দেখানো হয়।’
Humbled to receive #PramodMahajanSmritiPuruskar along with #ShayaraBanoJi. Thanks @PrakashJavdekar ji @poonam_mahajan & all for kind words.🙏 pic.twitter.com/SpNT5tENLK
— Anupam Kher (@AnupamPkher) October 29, 2017
[কাশ্মীরে ‘আজাদি’র দাবি তুলে বীরদের অপমান করেছে কংগ্রেস: মোদি]
আর এরপরই বিস্ফোরক অনুপম প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনারা যদি রেস্তরাঁর বাইরে বা সিনেমা হল, পার্টির বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন, তাহলে সিনেমা হলে জাতীয় সংগীতে শুনে মাত্র ৫২ সেকেন্ড দাঁড়াতে পারবেন না?’ ‘অ্যাওয়ার্ড ওয়াপসি’-র মতো আন্দোলনকারীদের তিনি ভয় পান না বলেও তোপ দেগেছেন। বস্তুত, জাতীয় সংগীত নিয়ে দেশজোড়া বিতর্কে যে তিনি ভয় পান না, সে কথা আগেও একাধিকবার স্পষ্ট করেছেন ৫০০-রও বেশি সিনেমায় কাজ করা এই অভিনেতা। এদিন অনুপম খেরের বক্তব্য প্রতক্ষ্যভাবে সমর্থন জানাল কেকেআরের ক্যাপ্টেন গৌতম গম্ভীরকে।
Standin n waitin outsid a club:20 mins.Standin n waitin outsid favourite restaurant 30 mins.Standin for national anthem: 52 secs. Tough?
— Gautam Gambhir (@GautamGambhir) October 27, 2017
শুক্রবার রাতে গম্ভীর টুইট করেন, ‘ক্লাবের বাইরে ২০ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে থাকা যেতে পারে। পছন্দের রেস্তরাঁর বাইরেও আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করা যেতে পারে। কিন্তু জাতীয় সংগীতের জন্য মাত্র ৫২ সেকেন্ড দাঁড়ানো যায় না? খুবই কঠিন নাকি?’ এই বক্তব্যের জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। নেটদুনিয়ার রোষ আছড়ে পড়ে তাঁর বিরুদ্ধে। অনেকেই মন্তব্য করেন, রেস্তরাঁ কিংবা ক্লাবের বাইরে কাউকে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করা হয় না। এটা প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের বিষয়। জোর করে কখনও দেশাত্মবোধ জাগানো যায় না।