Advertisement
Advertisement

Breaking News

কাশ্মীরি বিক্ষুব্ধদের জব্দ করতে ‘গোফান’ নিয়ে তৈরি ভিল যোদ্ধারা

"পাথরের বদলে পাথর।"

Armed with 'Gofan' Patriotic Bhils insist to fight Kashmiri stone pelters
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 21, 2017 11:42 am
  • Updated:October 8, 2019 12:14 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামান্য এক হাত লম্বা দড়ি। তার মাথায় চামড়া বা কাপড়ের খাপে একটি পাথরকুচি। ‘গুলতি’ নামের আপাত নিরীহ এই বস্তুটি প্রশিক্ষিত হাতে হয়ে উঠে এক প্রাণঘাতী অস্ত্র। এই অস্ত্র দিয়েই নরদানব গোলিয়াথকে পরাজিত করেছিল ডেভিড। এবার সেই গুলতি হাতে কাশ্মীরে পাথর নিক্ষেপকারীদের রুখতে এগিয়ে এসেছে মধ্যপ্রদেশের ‘ভিল’ জনগোষ্ঠী। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে ওই জনগোষ্ঠির প্রতিনিধিরা। তাঁদের আবেদন কাশ্মীরে যারা জওয়ানদের উপর পাথর ছোড়ে, তাদের ‘গোফান’ (গুলতি) দিয়ে ঠান্ডা করে দেবে তাঁরা।

[হাফিজ সইদ সন্ত্রাসবাদী, ৯ বছর পর স্বীকার পাকিস্তানের]

Advertisement

জানা গিয়েছে, ওই রাজ্যের ভিল আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাবুয়া জেলার যুবকরা দাবি জানিয়েছেন, তাঁদের কাশ্মীরে লড়তে পাঠানো হোক। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেনা জওয়ানদের হেনস্তা দেখে তাদের রক্ত ফুটছে। তাই এবার বিক্ষোভকারীদের শায়েস্তা করতে একটি ‘গোফান ব্যাটালিয়ন’ গড়ে তোলার দাবিও জানিয়েছেন ভিল যুবকরা। উল্লেখ্য, ভিলরা ‘গোফান’ বা গুলতির ব্যবহার শিকার ও আত্মরক্ষার করার জন্য আদিমকাল থেকে করে এসেছে। ব্রিটিশদের গোলা-বারুদের সামনেও তাঁতিয়া ভিলের নেতৃত্বে গোফান হাতে রুখে দাঁড়িয়েছিল নির্ভীক আদিবাসী যোদ্ধারা। ভানু ভুরিয়া নামের এক আদিবাসী যুবকের বক্তব্য, “পাথরের বদলে পাথর। আমাদের জওয়ানরা গুলি করার আদেশ পায় না, তাই তাঁদের হেনস্তা হতে হয়। আমাদের কাশ্মীরে পাঠানো হোক। যারা পাথর ছোড়ে তাদের ঠান্ডা করে দেব।” আরেক যুবক নবল সিং বলেন, “আমরা দেশভক্ত। জওয়ানদের হেনস্তা হতে দেখলে গায়ের রক্ত গরম হয়ে উঠে।

Advertisement

[‘ফতোয়া জারি করিনি’, আজান বিতর্কে উল্টো সুর ‘মৌলবী’র]

‘গোফান’ কতটা ঘাতক তা জানিয়েছেন দীর্ঘদিন আদিবাসী এলাকায় কার্যরত থাকা এক পুলিশ আধিকারিক। ইন্সপেক্টর আর সি ভাস্কর জানিয়েছেন, ওই গুলতি দিয়ে ৫০ মিটার দুরের লক্ষ্যে নির্ভুল আঘাত হানতে পারে ভিল জনগোষ্ঠীর শিকারীরা। ইতিমধ্যে, প্রায় ১০০ জন ভিল যুবক গোফান ছোড়ার কায়দা শানিয়ে নিতে ঝাবুয়া শহরের বাইরে হাতিপাও পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। বুধবার এই বিষয়ে ঝাবুয়া জেলার কালেক্টর আর সি সাক্সেনার সঙ্গে দেখা করে একটি স্মারকলিপি জমা দেন ওই জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা।

সেনাবাহিনীর হাতে হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই অশান্ত হয়ে উঠে কাশ্মীর উপত্যকা। সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরে একদল কাশ্মীরি যুবকের হাতে জওয়ানদের নিগ্রহের ভিডিও। তারপরই দেশজুড়ে উঠে নিন্দার ঝড়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ