Advertisement
Advertisement

চিনকে কড়া জবাব দিতে সিকিমে সেনাপ্রধান রাওয়াত

চড়ছে পারদ।

Army chief Bipin Rawat visits Sikkim

ফাইল ছবি

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 29, 2017 9:18 am
  • Updated:June 29, 2017 9:18 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর ‘পঞ্চশীল’ নীতি মেনে রক্তাক্ত হয়েছিল ভারত! মুখ থুবড়ে পড়েছিল পঙ্গু ‘ফরওয়ার্ড পলিসি’, এমনটাই মনে করেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অট্টহাস্যে ফেটে পড়ে ‘দ্য ফরবিডেন সিটি’র নীতি নির্ধারকরা। তবে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার তৈরি ভারত। বৃহস্পতিবার সিকিমে চিনা আগ্রাসনের কড়া জবাব দিতে সীমান্তে হাজির খোদ ভারতীয় সেনাপ্রধান।

সিকিমে সীমান্ত নিয়ে বিবাদের জেরে এখন ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে বেজিংকে কড়া বার্তা দিয়ে এদিন দু’দিনের সিকিম সফরে গিয়েছেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। জানা গিয়েছে, সিকিমে সেনার কতটা প্রস্তুত ও ভারতের রণকৌশল নিয়ে শীর্ষ সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। যদিও কেন্দ্রের ইঙ্গিত, রাওয়াতের এই সফর নেহাতই রুটিনমাফিক। সিকিমে চিন-ভারত সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ২২০ কিমি। সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে লালফৌজের আগ্রাসনের জবাব দিতে সেনাবাহিনী গড়ে তুলছে একটি ‘মাউন্টেন কর্পস’। পাহাড়ি এলাকায় যুদ্ধে পারদর্শী এই ডিভিশনটিকে সাজানো হচ্ছে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র দিয়ে। সম্প্রতি আমেরিকা থেকে কেনা অত্যাধুনিক এম৭৭৭  কামানও মোতায়েন করা হচ্ছে চিনের দিকে তাক করে, জানিয়েছে সেনা।

Advertisement

[ভারত ও আমেরিকাকে রুখতে আত্মপ্রকাশ বৃহত্তম চিনা রণতরীর]

Advertisement

উল্লেখ্য,  গত ১০ দিন ধরে সিকিমের দোকা লা জেনারেল অঞ্চলে মুখোমুখি সংঘর্ষ চলছে। পিটিআই জানাচ্ছে,  গত সপ্তাহে নাথুলা পাসের মধ্যে দিয়ে তিব্বতের কৈলাশ মানস সরোবরের পথে যাওয়া ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের ৪৭ জনের একটি দলকেও আটকায় পিপলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা। ১৯শে জুন এই তীর্থযাত্রীদের পৌঁছনোর কথা থাকলেও, তা সম্ভব হয়নি। খারাপ আবহাওয়ার কারণেও আটকে থাকতে হয় তাঁদের। ভারতীয় সীমানার এই দোকা লা জেনারেল অঞ্চলে যাতে চিনা জওয়ানরা কোনওভাবেই প্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছেন দেশের জওয়ানরা। সিকিম, ভুটান ও তিব্বতের মধ্যবর্তী এই এলাকা যা মূলত ‘লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল’ বলে পরিচিত। সেখানে মানববন্ধন গড়ে রক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে ভারতের তরফে। সেখানেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশের সেনা। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে তার ভিডিও।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত সিকিম সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার না করলে মানস সরোবরে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে বলে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিন। সম্প্রতি, সিকিমে ভারত-চিন সীমান্তে একাধিকবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে লালফৌজের সৈনিকরা। তবে উল্টোসুর ধরে সীমান্তে ভারতের বিরুদ্ধে শান্তিভঙ্গের অভিযোগ জানিয়েছে বেজিংই।

[ভারতকে ‘শিক্ষা’ দিতে তোড়জোর শুরু বেজিংয়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ