Advertisement
Advertisement

সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা বানচাল করল সেনা, নিকেশ ৪ জঙ্গি

উল্টোদিকে উপনির্বাচন পরবর্তী সময়ে হিংসা অব্যাহত উপত্যকায়।

Army foils infiltration bid, gunned down 4 terrorists

উল্টোদিকে উপনির্বাচন পরবর্তী সময়ে হিংসা অব্যাহত উপত্যকায়।

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 10, 2017 5:22 am
  • Updated:December 16, 2019 3:59 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা। তবে সঠিক সময়ে সেই ছক বানচাল করেছে ভারতীয় সেনা। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চার জনের। এরা প্রত্যেকেই পাক জঙ্গি, সন্দেহ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আধিকারিকদের।

[‘সিরিয়ায় আর একটাও বোমা ফেললে উড়িয়ে দেওয়া হবে আমেরিকাকে’]

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে। জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার কেরান সেক্টরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে ওই চার সন্দেহভাজন জঙ্গি। সেনার নজরে পড়তেই গুলি চালানো হয়। আর তাতেই মারা যায় চার অনুপ্রবেশকারী। তারা কোনও জঙ্গি সংগঠনের জন্য যুক্ত কিনা অথবা দলে আর কতজন ছিল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি গোটা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে সেনার তরফ থেকে।

Advertisement

এদিকে, রবিবার শ্রীনগর লোকসভা উপনির্বাচনে সেনা ও বিক্ষোভককারীদের মধ্যে সংঘর্ষে আট জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত শতাধিক। ভোটও পড়েছে নামমাত্র। নানা জায়গায় হাঙ্গামা, নিরাপত্তাবাহিনী-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে মাত্র ৬.৫ শতাংশ লোক ভোট দিয়েছেন। গত ৩০ বছরে যা সর্বনিম্ন। কাশ্মীর উপত্যকা যে এখনও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলেও এই ঘটনা সেটা ফের একবার প্রমাণ করে দিল। কারণ আগেই উপনির্বাচন বাতিলের ডাক দিয়েছিল হুরিয়ত। আর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এবং ঝামেলার ভয়ে বুথমুখী হননি সাধারণ মানুষ। এই ঝামেলার রেশ রয়েছে সোমবারও। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন ব্যক্তি সোপিয়ান জেলার পাদারপোরায় একটি সরকারি বিদ্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ওই বিদ্যালয়টিও উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ছিল। এদিকে, নিরাপত্তার খাতিরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বারামুল্লা থেকে বানিহাল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল।

এর আগে রবিবার সকাল থেকেই জায়গায় জায়গায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মীরা এবং বিক্ষোভকারীরা। ভোটকেন্দ্রগুলি ঘিরে ফেলতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। শুরু হয় সেনা জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। সেনার তরফ থেকে বলা হয়েছে, শূন্যে গুলি ছুঁড়েও যখন অবস্থা সামাল দেওয়া যাচ্ছিল না। আর ছররা বন্দুক না থাকায় তখন গুলি চালাতেই হয়। এদিকে, বিক্ষোভকারীদের একাংশের দাবি, বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানো হয়েছে। এই ঘটনার কারণে আরও দু’দিন বনধ ডেকেছে হুরিয়ত। এই পরিস্থিতিতে ১২ এপ্রিল অনন্তনাগ লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওখানেও হতে পারে সংঘর্ষ, পাশাপাশি ভোটদানের হারেও বড় কোনও পরিবর্তনের আশা করছেন তাঁরা।

[প্রয়াত জয়ললিতার কেন্দ্রের উপনির্বাচন বাতিলের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ