সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতদিন না কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে কোনও কথা নয়। এভাবেই বৃহস্পতিবার কড়া বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অরুণ জেটলি। গত বছর জুলাই মাসে হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর। একের পর এক ঘটনায় সেনা জওয়ান, পুলিশ থেকে শুরু করে একাধিক সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছেন। কেন্দ্র থেকে শুরু করে জম্মু-কাশ্মীরের মেহবুবা মুফতি সরকার হাজার প্রচেষ্টার পরও উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে ব্যর্থ। তবুও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে এখনই বৈঠকে বসতে নারাজ অরুণ জেটলি। তাঁর মতে, যতদিন না পরিস্থিতি শান্ত হবে, ততদিন আলোচনার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
এদিন এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেটলি বলেন, ‘বর্তমানে গোটা কাশ্মীরে হিংসার আবহ। এই অবস্থায় বিচ্ছিন্নতাবাদী, যারা কিনা হিংসায় মদত দিচ্ছে তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা সম্ভব নয়। অন্তত এই পরিস্থিতিতে।’ তবে তিনি জানান, সরকার অবশ্যই কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবে। তাঁদের সমস্ত অভিযোগ শুনবে। হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে কথা বলবে কিনা, সেই বিষয়ে কিছু জানাতে চাননি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে দেখা করে বিতর্কে জড়িয়েছেন কংগ্রেস নেতা মণিশংকর আইয়ার।
নিজের বক্তব্যে জেটলি আরও পরিস্কার করে দেন, কেন্দ্র কখনই বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সন্ত্রাসবাদীদের কোনও দাবি মেনে নেবে না। ‘আমার কথা হোক কিংবা কেন্দ্রের, এটা পরিস্কার জানিয়ে দিতে চাই আমরা কখনই বিচ্ছিন্নতাবাদী বা সন্ত্রাসবাদীদের কোনও দাবি মেনে নেব না। তবে জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষদের উদ্দেশে একটাই কথা বলার, কেন্দ্রের পাশে থাকুন। কারণ হিংসা ও সন্ত্রাসের কারণে তাঁদেরও দৈনন্দিন জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কাশ্মীরের সাধারণ মানুষকেই বুঝতে হবে এই ধরনের ঘটনা তাঁদের দৈনন্দিন জীবনকে নানাভাবে অশান্ত করে তুলছে।’
এদিন ভারতীয় সেনা জওয়ান মেজর লিটুল গগৈ-এরও প্রশংসা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত, বদগাঁও জেলাতে গত এপ্রিল মাসে পাথর নিক্ষেপকারীদের সামলাতে গগৈ এক কাশ্মীরি যুবককে জিপের সঙ্গে বেঁধেছিলেন। তাঁর এই কাজের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনাও করা হয়েছিল। এদিন সেই সমালোচকদের একহাত নিয়ে জেটলি বলেন, ‘ওই পরিস্থিতিতে একজন সেনা অফিসার কী করবে সেটা কোনও রাজনৈতিক দল বা সংবাদমাধ্যম ঠিক করে দেবে না। কী করণীয় সেটা দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারই ঠিক করবেন। কিন্তু কেউ যদি এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে তাহলে সেটা দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে খেলা করা হবে।’