সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অটোগ্রাফের জমানা শেষ। এখন সেলফি যুগ। সিনেমা বা ক্রীড়াজগতের তারকাদের দিকে এখন আর অটোগ্রাফের খাতা বাড়িয়ে দেয় না কেউ। মোবাইলে প্রিয় তারকার সঙ্গে সেলফি তুলতেই পছন্দ করেন নয়া প্রজন্মের ভক্তরা। আর এই সেলফি ম্যানিয়া থেকে রেহাই পাননি বিদেশি পর্যটকরাও। নানা অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে। তা নিয়েই এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কে জি আলফন্স। তিনি বলেছেন, এদেশে বেড়াতে আসা বিদেশি পর্যটকদের কখনওই সেলফি তুলতে বাধ্য করা উচিত নয়। এতে তাঁদের গোপনীয়তা ক্ষুন্ন হয়।
[আগ্রায় স্থানীয় যুবকের হাতে আক্রান্ত বিদেশি পর্যটক, রিপোর্ট তলব সুষমার]
মাস খানেক আগে আগ্রায় ফতেপুরে সিক্রিতে সেলফি তোলাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো নিগৃহীত হন এক সুইস তরুণ ও তাঁর বান্ধবী। ভিনদেশি ওই তরুণ অভিযোগ করেছিলেন, ফতেপুর সিক্রির স্টেশনে তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে সেলফি তাঁদের পথ আটকায় স্থানীয় কয়েকজন যুবক। এরপর আচমকাই ওই সুইস তরুণ ও তাঁর বান্ধবীকে মারধর করতে শুরু করেন তাঁরা। রাস্তায় ফেলে ইট ও লাঠি দিয়ে চলে মারধর। বেদম মারে ওই সুইস তরুণের মাথায় খুলির হাড় ভেঙে গিয়েছিল। কানেও গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। সুইস তরুণীর হাত ভেঙেছিল।
[এবার বিদায়ের সময়, রাহুলের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে ঘোষণা সোনিয়ার]
দিল্লিতে পর্যটন সংক্রান্ত একটি সম্মলেন সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় পর্যটন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী কে জি আলফন্স। তিনি বলেন, ‘এটা একেবারেই ঠিক নয়, কেন আমরা বিদেশি পর্যটকদের তাঁদের মতো করে থাকতে দেব না? শ্বেতাঙ্গদের প্রতি এতো কৌতুহলের কারণ কী? এভাবেই জোর করে সেলফি তুলে চাইলে, বিদেশিদের গোপনীয় ক্ষুন্ন হয়।’ এদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে আশেপাশে যেসব স্থানীয় যুবক ঘুরে বেড়ান, তাঁদের প্রতি মন্ত্রীর পরামর্শ, শ্বেতাঙ্গদের কৌতুহল দেখানো বন্ধ করুন। বিদেশি পর্যটকদের স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করতে দিন।
[সমস্ত ক্ষেত্রে আধার যোগের সময়সীমা বেড়ে ৩১ মার্চ, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিকালে এদেশে বিদেশি পর্যটকদের ওপর হামলার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। মন্ত্রীর দাবি, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সেলফি তোলা নিয়ে গণ্ডগোলের কারণেই আক্রান্ত হতে হয়েছে বিদেশিদের।
[বিয়ের আগে প্রেম! স্কুলের চাকরি খুইয়ে বিপাকে এই শিক্ষক দম্পতি]