Advertisement
Advertisement

Breaking News

রোহিঙ্গাদের জন্য প্রার্থনা করে বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত মুসলিম নেত্রী

এর নাম 'সবকা সাথ সবকা বিকাশ'? প্রশ্ন ক্ষুব্ধ মন্ত্রীর।

Assam BJP leader expelled for supporting Rohingya refugees
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 19, 2017 7:46 am
  • Updated:September 19, 2017 7:46 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোহিঙ্গা ইস্যুতে কঠোর অবস্থান কেন্দ্রের। কোনওভাবেই দেশে পা রাখা রোহিঙ্গাদের জায়গা দেওয়া হবে না। কেননা আইসিস ও পাক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে সরাসরি যোগ আছে রোহিঙ্গাদের। জাতীয় নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। এই প্রেক্ষিতেই রোহিঙ্গাদের জন্য প্রার্থনা করে শাসকদল থেকে বহিষ্কৃত হলেন এক মুসলিম নেত্রী।

জঙ্গিদের হাওয়ালা মারফত টাকা জোগাচ্ছে রোহিঙ্গারা, উদ্বিগ্ন কেন্দ্র  ]

Advertisement

ঘটনা অসমের। ইউনাইটেড মাইনোরিটি পিপলস ফোরাম নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রোহিঙ্গাদের সমর্থনে একটি সভার আয়োজন করে। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয় ওই নেত্রীকে। তিনি তা গ্রহণও করেন। এ খবর সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে শাসকদল রোহিঙ্গাদের বিরোধিতা করেছে, সেখানে সে দলেরই সদস্যার এহেন কাজকে দল বরদাস্ত করেনি। এরপরই দলের সব পদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। দলীয় সূত্রে খবর, নিজের কাজের সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দিতে পারার কারণেই নেত্রীর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা।

Advertisement

দাঙ্গায় ইন্ধন, অবশেষে হানিপ্রীতের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের  ]

অন্যদিকে নেত্রীর দাবি, তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন ঠিকই। কিন্তু তাঁর এক বন্ধু এই আমন্ত্রণকে প্রতিবাদ বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। ভুলবশতই এ কাজ করা হয়েছিল। সেটাই ছড়িয়ে পড়ে। আমন্ত্রণ গ্রহণ করার জন্য দলের কাছে তিনি ক্ষমাও চেয়ে নেন। এমনকী প্রতিবাদ বলে যে পোস্ট হয়েছিল তা ডিলিটও করে দেন। কিন্তু তারপরও তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। নেত্রীর দাবি, হোয়্যাটসঅ্যাপ মেসেজ মারফত তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের মুখোশ টেনে ছিঁড়ে ফেলল ভারত  ]

এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন নেত্রী। জানান, রোহিঙ্গাদের উপর মায়ানমার সরকার যে নির্যাতন চালাচ্ছে, তার প্রতিবাদে ওই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। খোদ প্রশাসন তাদের জন্য সাহায্য পাঠিয়েছে। তাহলে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো অপরাধ হবে কেন। প্রশ্ন নেত্রীর। এরপরই দলের গঠনতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। দলের মধ্যে যে গণতন্ত্র নেই বরং একনায়কতন্ত্র চলছে সে ব্যাপারে মুখ খোলেন। জানান, দল মুখেই বলছে ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’। কিন্তু এ আসলে মুসলমানদের ঠকানো। কেননা দলের ভিতর কেউ মুসলমানদের ভাল চোখে দেখে না। এমনকী মহিলাদেরও কোনও সম্মান করা হয় না। তাঁর অভিযোগ, তিন তালাকের বিরুদ্ধে প্রচারের মুখ হিসেবে তাঁকে তুলে ধরেছিল দল। কিন্তু তিনি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকেই দল তাঁকে অগ্রাহ্য করা শুরু করা। রোহিঙ্গাদের জন্য প্রার্থনা তাঁকে বহিষ্কারের ছুতো বলেই মনে করছেন ওই নেত্রী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ