Advertisement
Advertisement

Breaking News

militants die

ক্ষুব্ধ জনতার মারে অসমে মৃত দুই খাপলাং জঙ্গি, নতুন করে অস্ত্র উদ্ধারে চাঞ্চল্য

গ্রাম পাহারা দিতে শুরু করেছেন বরাক উপত্যকার বাসিন্দারা৷

Two suspected militants die after mob attack in Cachar, Assam
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:November 4, 2018 4:15 pm
  • Updated:April 11, 2019 6:23 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষুব্ধ জনতার মারে অবশেষে মৃত্যু হল দুই খাপলাং জঙ্গির৷ শনিবার বরাক উপত্যকার ডিমা হাসাউ পার্বত্য জেলার হরিনগর গ্রামে ছয় জঙ্গিকে ধরে গণপিটুনি দেনে স্থানীয়রা৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় সন্দেহভাজন ছয় জঙ্গিকে উদ্ধার করে পুলিশ৷ ধৃতদের মধ্যে দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়৷ আজ, রবিবার দুপুরে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়৷ অন্যদিকে, জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালিয়ে অসমের চাচহার জেলা থেকে উদ্ধার AK 56-এর ৪টি ম্যাগাজিন, ৪০ রাউন্ড ২.২ এমএম বুলেট-সহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে সশস্ত্র সীমা বল৷ নতুন করে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ এলাকায় জঙ্গি হামলা রুখতে ইতিমধ্যেই জোট বেঁধে গ্রাম পাহারা দিতে শুরু করেছেন বরাক উপত্যকার বাসিন্দারা৷

[তিনসুকিয়া গণহত্যা: নিহতদের পরিবারকে নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল]

স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে শুরু হয়েছে জঙ্গি দমন অভিযান৷ সিল করে দেওয়া হয়েছে অসম-মনিপুর সীমান্ত৷ জয়পুর থানার তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয়দের নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ জঙ্গিদের ডেরার সন্ধানে জঙ্গলগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে খবর৷ ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে বাসিন্দারা যাতে আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করেন, সেবিষয়েও সতর্ক থাকার আর্জি জানানো হয়েছে৷

Advertisement

[ভারী তুষারপাতে বিদ্যুৎহীন কাশ্মীর, মোমবাতির আলোয় চলছে পরীক্ষা]

Advertisement

তিনসুকিয়া গণহত্যা কাণ্ডের বিরুদ্ধে ফুঁসছে গোটা বরাক উপত্যকা৷ ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে বিস্তীর্ণ অসমে৷ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ৷ অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে রবিবার করিমগঞ্জে এআইইউডিএফ সাংসদ রাধেশ্যাম বিশ্বাস ও কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ পুলিশের জালে ধরাও পড়েছে উলফা নেতা জিন্টু গগৈ ওরফে দেখলাই৷ শনিবার ২৪ ঘণ্টার বনধকে কেন্দ্র করে জায়গায় জায়গায় বন্‌ধ পুলিশের খণ্ডযুদ্ধও বেঁধেছে৷ ক্ষুব্ধ বাঙালিদের মেজাজ দেখে চিন্তায় ঘুম উড়েছে অসমের ভূমিপুত্রদের৷ চিন্তায় বাড়িয়েছে প্রশাসনেরও৷  

[বিদেশি সাহায্যেই তৈরি ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’! দাবি ব্রিটিশ মিডিয়ার]

কিন্তু, কেন এই পরিস্থিতি? পর্যবেক্ষক মহলের ধারনা, জাতীয় নাগরিকপঞ্জির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ দিন ধরে আলোচনাপন্থী উলফা সংগঠনের তরফে প্রবাল নেওগ, মৃণাল হাজারিকা, জিতেন দত্তরা বাঙালিদের অসম ছেড়ে চলে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়। অন্যথায় বাড়ি বাড়ি ঢুকে বাঙালি নিধনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। এরপর বাঙালি হত্যার দায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অস্বীকার করলেও এর পিছনে তাদের হাত রয়েছে বলেই দাবি করেছেন অসম পুলিশের ডিজি কুলধর শইকিয়া। তাঁর দাবি, যে ভাবে সেনার পোশাক ও বিপুল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে তা থেকে মনে করা হচ্ছে এর পিছনে পরেশ বড়ুয়াপন্থী আলফা স্বাধীন সংগঠনের হাত রয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ