সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌন নিগ্রহ করেছে প্রিন্সিপালের ছেলে। কাউকে জানালে আরও বড় ক্ষতি করার হুমকি দিয়েছে। শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সইতে না পেরে আত্মঘাতী দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া এলাকায়।
[পছন্দ নিরাপদ যৌনতা, অবিবাহিত মহিলাদের মধ্যে কন্ডোমের চাহিদা বেড়েছে ৬ গুণ]
অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই ছাত্রীর উপর নজর ছিল প্রিন্সিপালের ছেলের। বাবার স্কুলে নিত্য যাতায়াত ছিল তার। ছিল প্রতিপত্তিও। সেই সুযোগ নিয়েই ছাত্রীকে প্রিন্সিপালের ঘরে ডেকে পাঠায় সে। দ্বাদশশ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হেনস্তা করে। ঘটনার কথা কাউকে বললে আরও বড় ক্ষতি করার হুমকিও দেয়। ভয়ে বাড়ির কাউকে কিছু বলেনি ওই কিশোরী। কিন্তু যখন এই ঘটনা ঘটে স্কুলের পাশের এক বাড়ির বাসিন্দা জানালা দিয়ে তা দেখে ফেলেন। ছাত্রী বাড়িতে পুরো বিষয়টি জানিয়ে দেন। এরপরই নির্যাতিতার ভাই প্রিন্সিপালের ছেলের উপর চড়াও হয়। তাকে মারধর করে নিজের বোনের অপমানের প্রতিশোধ নেয়।
[মহাভারতের ‘জতুগৃহ’র খোঁজ পেতে খনন শুরু উত্তরপ্রদেশের বাগপতে]
কিন্তু তাতে দমে না গিয়ে উলটে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে ওঠে অভিযুক্ত। দলবল নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে চড়াও হয় সে। সকলে মিলে ছাত্রীর ভাইকে বেধড়ক মারধর করে। লাগাতার হেনস্তা ও অপমানের জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে রান্নাঘরে গিয়ে নিজের গায়ে আগুন দেয় ওই কিশোরী। বাড়ির লোকেরা উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কিশোরীর মৃত্যুর পরই স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরপরই কিশোরীর ঠাকুরমার অভিযোগের ভিত্তিতে ছ’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্তের তালিকায় প্রিন্সিপালের নামও রয়েছে। কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। তবে প্রিন্সিপালের ছেলে এখনও অধরা। অবিলম্বে তার গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অভিযুক্তকে ধরার সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অফিসার ইন চার্জ অনিল কুমার।
[বিদেশ সফরে মোদির সঙ্গী কারা? নাম প্রকাশের নির্দেশ তথ্য কমিশনের]