Advertisement
Advertisement
farmer

২৬ জানুয়ারির ব়্যালিতে গুলিই করা হয়েছিল কৃষককে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ পরিবারের

পরিবারের দাবি, ট্রাক্টর উলটে নয়, পুলিশের গুলিতেই প্রাণ হারিয়েছেন নভরীত।

Autopsy Doctor told He'd Seen Bullet Injury But Could not anything, claims dead farmer's family | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:January 30, 2021 3:26 pm
  • Updated:January 30, 2021 4:31 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৬ জানুয়ারি দিল্লির আইটিও এলাকায় ট্রাক্টর উলটে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন কৃষক আন্দোলনে শামিল নভরীত সিং। ময়নাতদন্তে এই তথ্যই উঠে এসেছে। কিন্তু মৃত কৃষকের পরিবার তেমনটা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, ট্রাক্টর উলটে নয়, পুলিশের গুলিতেই প্রাণ হারিয়েছেন নভরীত। সে ঘটনার সাক্ষীও থেকেছেন একাধিক কৃষক বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল (Farmer Protest) ও লালকেল্লা দখল ঘিরে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আইটিওতে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা কোনও বাধাই মানতে চাননি। তাঁদের পথে এলে ট্রাক্টর চালিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। সেই ভিডিও-ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সময়ই একটি ট্রাক্টর উলটে যাওয়ার ঘটনা সামনে আসে। আর তাতেই নভরীত সিংয়ের মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। যদিও বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীদের একাংশ অভিযোগ করেছিল, গুলির আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে নভরীতের। একই দাবি পরিবারেরও।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দিল্লি বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করল জইশ-উল-হিন্দ, টেলিগ্রাম চ্যাটে মিলল তথ্য]

মৃতের ঠাকুরদা হরদীপ সিং দীবদিবা বলছেন, “চিকিৎসক আমাদের জানিয়েছিলেন নভরীতের শরীরে গুলির আঘাত স্পষ্ট। এরপর আমরা তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করি। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পর দেখা গেল এমন কিছুই উল্লেখ নেই। চিকিৎসক এও বলেন, তিনি গুলির চিহ্ন দেখতে পেলেও সে কথা প্রকাশ্যে আনতে অপারগ ছিলেন।” ফলে তাঁদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে বলেই দাবি করেছেন বছর ৬৮-র হরদীপ। এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে মৃতের পরিবার। গোটা ঘটনার অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। তাঁর দাবি, এভাবেই সাধারণ মানুষের মুখ বন্ধ করতে চাইছে মোদি সরকার। সত্যিটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Advertisement

এদিকে, অশান্তি এড়াতে সিঙ্ঘু, গাজিপুর ও টিকটির আশপাশের সমস্ত এলাকায় গতকাল রাত ১১টা থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Union Home Ministry)। সাধারণের সুরক্ষার জন্য আগামিকাল রাত ১১টা পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ থাকবে।

[আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় হট্টগোলের মধ্যে বিল পাশ করতে চাপ দিতেন মোদি! অভিযোগ প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ