ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রয়েছে অযোধ্যা মামলা৷ জানুয়ারিতে হবে এই মামলার শুনানি৷ কিন্তু কবে রায় বেরবে সেই অপেক্ষায় বসে না থেকেই ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় প্রস্তাবিত রাম মন্দির নির্মাণের কাজ অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে রাম জন্মভূমি ন্যাস। অযোধ্যার করসেবকপুরমে কর্মশালায় জোর কদমে চলছে মন্দির তৈরির কাজ। ১৯৯০ থেকে এই কর্মশালায় যে কাজ শুরু হয়েছে, এতদিনে তা প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ। তবে পর্যাপ্ত অর্থের জোগান না থাকায় থমকে গিয়েছে এই কাজ৷ এই কর্মশালার দায়িত্বে থাকা অন্নু ভাই সোমপুরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি কাজের গতি খানিকটা স্লথ হয়েছে৷
[গুজরাট দাঙ্গা ইস্যুতে অস্বস্তিতে মোদি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা শুনবে শীর্ষ আদালত]
করসেবকপুরমের কর্মশালায় রাখা রয়েছে রাম মন্দিরের একটি কাঠের কাঠামো৷ শুধুমাত্র এই মডেলটি দেখতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ভিড় জমান সেখানে। মন্দিরের ভিতরে ও বাইরে যে সব কারুকাজ থাকবে সেগুলি তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র পেলেই শুরু হয়ে যাবে রাম মন্দির তৈরির কাজ। ১২৮ ফুট উঁচু, ১৪০ ফুট চওড়া ও ২৬৮ ফুট লম্বা এই মন্দিরে থাকবে ২১২টি পিলার। প্রতিটি ফ্লোরে থাকবে ১০৬টি স্তম্ভ এবং প্রতিটি স্তম্ভে থাকবে ১৬টি মূর্তি। ইতিমধ্যেই ফৈজাবাদের নাম পরিবর্তন করে অযোধ্য রেখেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার৷ সূত্রের খবর, এরপর রাজ্য প্রশাসনের লক্ষ্য গোটা জেলায় মদ ও মাংস বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা। উত্তরপ্রদেশ সরকারের মুখপাত্র শ্রীকান্ত শর্মা জানিয়েছেন আইনি পথেই অযোধ্যায় মদ ও মাংস বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে অযোধ্যা পুর বোর্ডের অধীনে যে সব অঞ্চল রয়েছে, সর্বত্র মদ ও মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে গিয়েছে। দাবি উঠেছে গোটা জেলাতেই তা নিষিদ্ধ করতে হবে৷
[রাফালে ইস্যুতে ফের মোদির পাশে দাসাল্টের CEO, বিঁধলেন রাহুলকে]
এদিকে, অযোধ্যা মামলার শুনানি এগিয়ে আনার জন্যে যে আবেদন করা হয়েছিল, সোমবার ১২ নভেম্বর তা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যাতে মুখ পুড়েছে হিন্দু মহাসভার৷ এমত অবস্থায় অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির জন্যে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ বাড়াতে তোড়জোড় শুরু করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। আগামী ২৫ নভেম্বর, স্থানীয় সাধুদের সঙ্গে নিয়ে শক্তি প্রদর্শন করার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। দ্রুত যাতে আইন পাস করিয়ে রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয় অযোধ্যায়, তারই দাবি জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। পরিষদের উত্তরপ্রদেশ শাখার সভাপতি শরদ শর্মা জানান, “রাম মন্দিরের সঙ্গে ভোটের রাজনীতির কোনও যোগ নেই। আমরা চাই মন্দির তৈরি বৈধ করতে সরকার অর্ডিন্যান্স আনুক। আমরা সাংবিধানিক এক্তিয়ারের মধ্যেই মন্দির বানাতে চাই। রাজ্যের প্রতিটি বিজেপি ও সংঘ কর্মী চান, রাম মন্দির এখনই বানানো হোক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.