Advertisement
Advertisement

Breaking News

অযোধ্যা মামলা

অযোধ্যা মামলার রায়দান: দেশের সংহতিতে নতুন দিন, জাতির উদ্দেশে ভাষণে বললেন মোদি

অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরির রাস্তা পরিষ্কার।

Ayodhya verdict 1: SC decrees disputed site to deity
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 9, 2019 8:25 am
  • Updated:November 9, 2019 7:53 pm

দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ রায়ের দীর্ঘ প্রতিলিপি পড়ে জানালেন, অযোধ্যার বিতর্কিত জমি  যাবে রাম জন্মভূমি ন্যাসের অধীনে। মসজিদ তৈরির জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চের। দেশের অন্যতম  গুরুত্বপূর্ণ মামলার একটানা চল্লিশ দিনের শুনানি শেষ হয় ১৬ অক্টোবর। আজ রায় দেওয়া হল।  

সন্ধে ৬: অযোধ্যা মামলার রায় ঐতিহাসিক। নতুন করে দেশের গণতন্ত্রের জোর, ঐক্য প্রমাণিত হল। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রীতি, একতা বজায় রাখার আহ্বান জানালেন।

Advertisement

সকাল ১১.৩৫: অযোধ্যা মামলার রায়ে সন্তুষ্ট নয় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।

Advertisement

সকাল ১১. ২৫: হিন্দু মহাসভার প্রতিক্রিয়া , অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় আরও একবার বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের নিদর্শন রাখল। 

সকাল ১১.১১: মুসলিমদের জন্য যে বিকল্প জমির ব্যবস্থা করা হবে, ১৯৯৩ সালে জমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী অধিগৃহীত ৬৯ একর জমির মধ্যে থেকেই পাঁচ একর জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে দেবে কেন্দ্রের তৈরি ট্রাস্ট। 

সকাল ১১. ০৫:  মুসলিমদের বিকল্প  ৫ একর জমি দেওয়া হবে।  শর্তসাপেক্ষে বিতর্কিত জমি পাবেন হিন্দুরা। গুরুত্বপূ্র্ণ নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। তিন মাসের কেন্দ্রকে একটি ট্রাস্ট গঠন করতে হবে। এই ট্রাস্টের অধীনেই তৈরি হবে রাম মন্দির। বড় ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের।

সকাল ১১ :  এএসআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী,  মাটির নিচে স্থাপত্য থাকলেই জমির সত্ত্ব দাবি করা যায় না। আবার এই জমিতে মুসলিমদের স্থায়ী সত্ত্ব রয়েছে, এমনও বলা যায় না। 

সকাল ১০.৫৭:  ১৯৪৯ সালে মূল গম্বুজের নিচে রামের মূর্তি স্থাপন করা মসজিদের অবমাননার শামিল। ফলে ১২ বছর পর দায়ের করা হলেও সুন্নি পক্ষের মামলা বিচার্য। রায়দান করতে গিয়ে জানালেন রঞ্জন গগৈ।

সকাল ১০. ৫২:  হিন্দুদের বিশ্বাস, অযোধ্যার বিতর্কিত স্থান রাম জন্মভূমিই। তাঁদের আস্থা বিতর্কের উর্ধ্বে। তবে ওই জায়গায় কোনও মূল্যবান সম্পত্তি আছে, এই দাবিতে কেউ সেই স্থানের অধিকার চাইতে পারে না। জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি। 

সকাল ১০. ৪৪: বাবরি মসজিদ ফাঁকা জায়গায় তৈরি হয়নি। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অউ ইন্ডিয়ার রিপোর্টকে মান্যতা দিয়ে জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। সেখানে একটি স্থাপত্য ছিল, যা ইসলামিক নয়। এএসআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, বারোর শতকে মন্দিরের মতো স্থাপত্য ছিল এই জমিতে। 

সকাল ১০.৪২ : কোনও রাজনৈতিক সমর্থন বা ধর্মীয় আস্থার ভিত্তিতে রায়দান নয়, জমি আইনের ভিত্তিতেই রায় দেওয়া হবে। জানালেন প্রধান বিচারপতি। 

সকাল ১০. ৪১ : নির্মোহী আখড়া সেবায়েত নয়, সেবায়েত হলেও মন্দিরের উপর অধিকার জন্মায় না। নির্মোহী আখড়ার আবেদন খারিজ করে দিলেন বিচারপতিরা।

সকাল ১০. ৩৮: কবে বাবরি মসজিদ তৈরি হয়েছিল, তা বিচার্য নয়। জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি।

সকাল ১০.৩২: রায় পড়া শুরু করেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। ওয়াকফ বোর্ডের জমির মালিকানা থাকবে শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে। সুন্নিদের আবেদন খারিজ, সর্বসম্মতিক্রমে রায়দান সাংবিধানিক বেঞ্চের।  

সকাল ১০.১৫:   অমিত শাহর বাড়িতে বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। 

কাল ১০.০৫ মিনিট: জয়পুরে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। 
সকাল ৯.৫৯ মিনিট: তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী বলেন, “সমস্ত ধর্মের মানুষেরা দয়া করে শান্তি বজায় রাখুন।”
সকাল ৯.৫৫ মিনিট: বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার টুইট করে শান্তির আহ্বান জানান।  

[আরও পড়ুন: রাম মন্দির আন্দোলনে ‘প্রথম শহিদ’, অযোধ্যার গলিতেই প্রাণ দিয়েছিলেন বাংলার দুই ভাই]

সকাল ৯.৫৩:  সুপ্রিম কোর্টের ১ নম্বর ঘরের বাইরে বিচারপতিদের ভিড়।

SC-court-room

সকাল ৯.৫১ মিনিট:  বাসভবন ছেড়ে সুপ্রিম কোর্টের উদ্দেশে রওনা দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।

CJI goes

সকাল ৯.৫০ মিনিট: উত্তরপ্রদেশের জেলাশাসক বলেন, “আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আশা করি নিরাপত্তা বেড়াজাল পেরিয়ে কোনও অশান্তি হবে না।”
সকাল ৯.৪৫ মিনিট:
উত্তরপ্রদেশে হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। নম্বরটি হল – ৮৮৭৪৩২৭৩৪১।
সকাল ৯.৩৫ মিনিট: রাজস্থানে সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সকাল ৯.৩০ মিনিট: দিওয়ালির পরে নিজের বাসভবনে দলীয় কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই অনুষ্ঠান বাতিল করা হল।

সকাল ৯.২০ মিনিট: নিরাপত্তার দিকে নজর রেখেছে হরিয়ানা পুলিশও।
সকাল ৯.১৫ মিনিট: ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত যা রায় দেয় তা মেনে নেব। দেশের শান্তি, সম্প্রীতি নষ্ট হতে দেবেন না।”
সকাল ৯.০৯ মিনিট: উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে অন্যান্য দিনের মতো আজও পুণ্যার্থীরা  রামমন্দিরে যেতে পারেন। খোলা রয়েছে সমস্ত দোকানপাট। এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে পরিস্থিতি।

সকাল ৯.০২মিনিট: দিল্লি পুলিশের জয়েন্ট সিপি আইডি শুক্লা রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। 
সকাল ৮.৫৫মিনিট:
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইটে দেশবাসীর কাছে শান্তির আহ্বান করেন।

সকাল ৮.৫১মিনিট:  উত্তরপ্রদেশের ৩১টি জেলাকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।  

সকাল ৮.৪৫মিনিট:  আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত জানান, অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার পর দুপুর ১টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করবেন।
সকাল ৮.৪০মিনিট:
উত্তরপ্রদেশের ডিজি ওপি সিং বলেন,”আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। রায় যাই হোক না কেন অশান্তি হবে না বলেই আশা করি। সতর্কতামূলক যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
সকাল ৮.৩৫মিনিট:
৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জয়সলমীরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। 
সকাল ৮.৩০মিনিট:
অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার জেরে উত্তরপ্রদেশ-নেপাল সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সকাল ৮.২৫মিনিট:
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। 
কাল ৮.২০মিনিট: উত্তরপ্রদেশে আলিগড় এবং আগ্রায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা।
সকাল ৮.১০মিনিট: কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা টুইটে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান।
সকাল ৮টা: সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়। মোতায়েন করা হয় ৫০০ পুলিশকর্মী এবং আধা সেনা। বাড়ানো হয় জামা মসজিদের নিরাপত্তাও।
সকাল ৭টা ৪০ মিনিট: হিমাচল প্রদেশ পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় যেকোনও রকম ভুয়ো খবর, ছবি না ছড়ানোর বার্তা দেয়।
সকাল ৭টা ২৫ মিনিট: যাতে কোনও অশান্তি না হতে পারে তাই রাজস্থান সরকার রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
সকাল ৭টা ১৫ মিনিট: আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার আগে এবং পরে দেশবাসীর কাছে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দেন।
সকাল ৭টা ০৫ মিনিট:শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

সকাল ৭টা: নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে অযোধ্যাকে। মোতায়েন করা হয়েছে ৬০ কোম্পানি পুলিশ এবং দু’লক্ষেরও বেশি আধাসেনা।ড্রোনের মাধ্যমে চলছে নজরদারি। নয়ডা-সহ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন সংবেদনশীল এলাকায় চলছে ফ্ল্যাগমার্চ।

শুক্রবার রাত ১১.৩০টা: যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য শহরের প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।

শুক্রবার রাত ১১টা: টুইটে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লেখেন, “অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দেবে তার সঙ্গে জয়-পরাজয়ের কোনও যোগ নেই। দেশের শান্তি, একতা ও সম্প্রীতিকে শক্তিশালী করাই একমাত্র কর্তব্য।”

শুক্রবার রাত ১০.৩০টা: কাশ্মীর এবং উত্তরপ্রদেশে জারি হয় ১৪৪ ধারা।
শুক্রবার রাত ১০টা: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে খোলা হয় কন্ট্রোল রুম।বাড়ানো হয় সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা। জরুরি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য লখনউ এবং অযোধ্যায় রাখা রয়েছে দু’টি হেলিকপ্টার। বাড়ানো হয়েছে দিল্লির নিরাপত্তাও। উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়। 

শুক্রবার রাত ৯.৩০টা:  শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রায়দান হবে বলে ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের ১ নম্বর ঘরে হবে রায় ঘোষণা। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি এস এ নাজিরের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে হবে রায় ঘোষণা।

শুক্রবার দুপুর ৩টে: উত্তরপ্রদেশের পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের ডেকে বৈঠক করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ