সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : চলন্ত অটোতে ধর্ষণ করা হল মাকে। এখানেই শেষ নয়। তাঁর ন’মাসের শিশুকন্যার কান্না থামাতে ছুড়ে ফেলা হল অটো থেকে।মর্মান্তিক এ ঘটনা গুরগাঁওয়ের। মে মাসের ২৯ তারিখ রাতে ঘটনাটি ঘটলেও, প্রকাশ্যে আসে এই সোমবার।
[ মহম্মদ কখনও গোমাংস খাননি, দাবি আরএসএস নেতার ]
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে মাঝরাতেই খান্দসা রোডে নিজের বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই মহিলা। সঙ্গে ছিল তাঁর ন’মাসের শিশু কন্যা। মানেসরের বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় একটি অটোকে দাঁড় করান। অটোয় আগেই তিনজন যাত্রী ছিল বলে তাঁর দাবি। অটোতে উঠতেই ওই তিন ব্যক্তি তাঁর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা। সাহায্যের জন্য তিনি চিৎকার করতে শুরু করলে, শিশুটি কাঁদতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে চলন্ত অটো থেকে তাকে ছুড়ে ফেলে দেয় তিন অভিযুক্ত।
[কমবে তাপমাত্রা, স্বস্তি দিতে আসছে বৃষ্টি]
পুলিশ সূত্রে খবর, মাথায় গুরুতর চোট পেয়ে ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়। দিল্লি গুরগাঁও এক্সপ্রেসওয়ের কাছে ওল্ড খান্দসা রোডের ওপর তাঁকে চলন্ত অটোতেই ধর্ষণ করা হয় বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন ওই মহিলা।
[ভারতীয় মুসলমানরা ‘নির্লজ্জ’, দাবি জঙ্গি মুসার]
তবে পুলিশ জানাচ্ছে, ওই মহিলা প্রথমে একটি ট্রাকে করে নিজের গন্তব্যে পৌঁছতে চেয়েছিলেন, যদিও তিনি খেরকি দৌলা টোল প্লাজার কাছে ট্রাক থেকে নেমে পড়েন। ট্রাক ড্রাইভার মদ্যপ ছিল বলেও অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা। ঠিক কী ঘটেছিল তা এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার নয় পুলিশের কাছে বলে মন্তব্য করেছেন গুরগাঁওয়ের পুলিশ আধিকারিক। এই ঘটনায় খুন ও যৌন নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও তিন অভিযুক্তই পলাতক। তবে শারীরিক পরীক্ষা করাতে রাজি হননি ওই মহিলা। আর এখানেই ধোঁয়াশা বাড়ছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। প্রসঙ্গত, গত মাসেও রোহতক ও গুরগাঁওতে দুটি পৃথক ধর্ষণের ঘটনা সংবাদের শিরোনামে এসেছিল। দুটি ঘটনারই তদন্ত এখনও চলছে।