স্টাফ রিপোর্টার: নগদ নাও মিলতে পারে৷ ভরসা শুধুই প্লাস্টিক কার্ড৷ তবে তা-ই বা কতটা কাজ করবে?
অদ্ভুত শোনালেও এটাই বাস্তব৷ বিশেষ করে পুজোর ক’টা দিন৷ টানা পাঁচদিন ব্যাঙ্কের দরজা বন্ধ থাকবে৷ খাতায় কলমে অবশ্য এটিএম খোলা৷ কিন্তু কার্ড পাঞ্চ করলে কড়কড়ে নোট মিলবেই এমনটা একেবারেই নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না৷ ফলে পুজোর মধ্যে অন্যরকম দুর্ভোগের সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ঘরপোড়া গ্রাহকরা৷
উপায়? ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্তরাই বলছেন, সপ্তমীর আগে প্রয়োজনীয় টাকা তুলে পার্সে ভরুন৷ না হলে পথে বসাতে পারে এটিএমের ‘নো ক্যাশ’ বোর্ড৷ আরও একটি সমস্যা, এটিএমে সবই পাঁচশো বা হাজার৷ একশো? নো ওয়ে৷
সপ্তমীর দিন, শনিবার থেকে ব্যাঙ্ক বন্ধ৷ দশেরা মঙ্গলবার৷ বুধবার মহরম৷ লক্ষ্মীবারে দরজা খুলবে ব্যাঙ্কের৷ তার আগে আবার পঞ্চমীর দিন এনআই অ্যাক্টে ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার৷ তবে মাঝে ষষ্ঠীর দিন ব্যাঙ্ক খোলা থাকছে৷ ‘মা থাকবে কতক্ষণ, মা যাবে বিসর্জন’- বাঙালির অতি প্রিয় বাৎসরিক বিষাদমথিত ছন্দের মতোই চতুর্থীর সন্ধ্যাতেই গ্রাহকের মনে গুনগুন করছে, ‘মেশিনে টাকা থাকবে কতক্ষণ?’ বড় রেস্তোরাঁ বা দোকান, যারা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড নেয়, তাদের ছাড়া কোথাও পরিষেবা পেতে কিন্তু কাঁচা টাকাই ভরসা৷
ব্যাঙ্কগুলি তো সরাসরি এটিএমে টাকা ভরে না৷ সবই বেসরকারি হাতে৷ আউটসোর্সিং৷ সিএমএস, ব্রিংকস-এর মতো সংস্থাগুলি এই কাজ করে থাকে৷ তারা অবশ্য পরিষেবা দিতে প্রস্তুত৷ শুধু দশমীর দিন তাদের ছুটি৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও গ্রাহকরা সুষ্ঠু পরিষেবা পাবেন এমন নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না কেউ৷ পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ বিভিন্ন মহলে৷ কারণ, রাজ্যে বহু এটিএম নিরাপত্তারক্ষীহীন৷
এমনিতে এটিএমের পুরনো মেশিনগুলিতে ৫০ লাখ পর্যন্ত টাকা রাখা যেত৷ কিন্তু রাজ্যের এটিএমের বড় অংশ এখন কর্পোরেট সংস্থার হাতে, সেগুলির নিয়ন্ত্রণ আর সরাসরি ব্যাঙ্কের হাতে নেই৷ ছোট বড় সব মেশিনগুলিতে মোটামুটি গড় হিসাব করে টাকা তুলে দেওয়া হবে ছুটির দিনগুলির জন্য৷ তবে রাস্তা-ঘাটে পকেট ভরার উপায়, অর্থাত্ এটিএম পরিষেবা কতটা সহায়ক হবে সেই ধোঁয়াশা যে কাটছে না৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.