সুব্রত বিশ্বাস: ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও।’ কেন্দ্রের এই নীতিকেই প্রাধান্য রেলের। মহিলাদের সুরক্ষা, হাতে ক্ষমতা ন্যস্ত করতে একাধিক পদক্ষেপ। দক্ষিণপূর্ব রেলের দুর্নীতি রোখার দায় এবার এক বাঙালিনির কাঁধে। ওই রেলের চিফ ভিজিল্যান্স অফিসারের দায়িত্ব নিয়ে বুধবার চন্দ্রিমা রায় বলেন, বুকিং কাউন্টার, রিজার্ভেশন সেন্টার ও পার্সেলের কর্মীদের দুর্নীতির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই দুর্নীতি ঠেকাতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তিন দিন ধরে রেলকর্মীরা যাত্রীদের সতর্ক করবেন তিনি। দুর্নীতির শিকার হলে ৯৪৩৩৪৯১৭৮৩ নম্বরে ফোন করে কিংবা মেল বা হোয়াটস অ্যাপে জানানো যাবে অভিযোগ।
[অতিথি দেব ভব! বিদেশিদের জন্য বস্তিতেও খুলল হোমস্টে]
১৯৯১ সালে ভারতীয় রেলে ট্রাফিক সার্ভিসে ব্যাজে যোগ দেন চন্দ্রিমা। পূর্ব রেলের সিপিটিএমের পদের থেকে তিনি সংশ্লিষ্ট পদে যোগ দেন। হায়দরাবাদ থেকে তিনি স্ট্যাটিসটিক্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান। এখন যাত্রীদের, বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষায় বিশেষভাবে জোর দিচ্ছে রেল। মঙ্গলবার আরপিএফের প্রতিটি জোনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আগামী তিনদিনের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। পাশাপাশি আরপিএফের নিয়ন্ত্রিত সিসিটিভি বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ট্রেন এসকর্ট বাহিনী ইন্টার চেঞ্জ করার স্টেশনে রেস্ট হাউস করতে হবে আরপিএফের জন্য, বারাকগুলির অাধুনিকীকরণ, স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে আরপিএফকে। বছরে একবার সুরক্ষা কর্মীদের ফুল বডি চেক বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
[অমানবিক! শিশপুত্রকে দড়িতে বেঁধে, মেয়েকে মেঝেতে ফেলে নির্দয় মার বাবার]