Advertisement
Advertisement

গ্রুপ সেলফির ঝোঁকে তলিয়ে গেল কিশোর, হুঁশ নেই বন্ধুদের!

সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন।

Bengaluru group selfie of students shows one of them drowning
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 26, 2017 10:14 am
  • Updated:September 26, 2017 10:16 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  জলে দাঁড়িয়ে গ্রুপ সেলফি তুলতে গিয়ে ডুবে গেল বন্ধু। আর ছবি তুলতে মত্ত বাকি বন্ধুরা তা খেয়ালই করল না। পরে সেই যুবকের দেহ উদ্ধার হয় পুকুর থেকে। সোমবার এই নক্ক্যারজনক ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের রামানাগরা জেলার কনকপুরার রামাগোন্ডলু বেট্টাতে। মৃতের নাম বিশ্বাস জি। সতেরো বছরের এই কিশোর জয়নগরের ন্যাশনাল কলেজের ছাত্র।

[পাক অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই হবে কবরে, কড়া হুঁশিয়ারি রাওয়াতের]

Advertisement

কাগ্গালিপুরা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত কিশোরের বাড়ি দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর হনুমান্থা নগরে। তার বাবার নাম গোবিন্দারাজু। পেশায় অটোরিকশা চালক তিনি। সম্প্রতি বিশ্বাস কলেজের ২৫ জন পড়ুয়ার সঙ্গে NCC-র জন্য পাহাড়ে ট্রেকিং করতে যান। পথে একটি পুকুরে স্নান করতে নামেন তাঁরা। কয়েকজন সাঁতারও কাটেন সেখানে। কয়েকজন পড়ুয়া মোবাইল ফোন বের করে সেলফি তুলতে থাকেন। আর সেই সময়ই ঘটে দুর্ঘটনাটি।

Advertisement

[সাবধান! সেলফি তুললে এই মণ্ডপে বাজেয়াপ্ত হবে আপনার মোবাইল]

যে জায়গায় বিশ্বাস ডুবে যায়, সেটির গভীরতা ১০ ফুট ছিল বলে জানা গিয়েছে। বাকিদের সেলফি তোলার মধ্যেই বিশ্বাস জলে তলিয়ে যেতে থাকেন। তাঁদের ঠিক পিছনেই যে একজন জলে তলিয়ে যাচ্ছেন, সেটা কেউই লক্ষ্য করেননি।

রামানাগরার পুলিশ সুপার রমেশ বনোথ জানান, বিশ্বাস যখন ডুবে যাচ্ছিলেন, সেইসময় বাকি পড়ুয়ারা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওয়া সতর্কবার্তাও মানেনি পড়ুয়ারা।  দুপুর ২টো নাগাদ তারা জলে নামে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুকুরে স্নান সেরে তারা একটি মন্দিরে যায়। সেখানেও বিশ্বাসের অনুপস্থিতি তারা বুঝতে পারেনি। সেলফিটি আবার দেখতে গিয়ে বিষয়টি খেয়াল করেন পড়ুয়ারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। সাড়ে ৩ টে নাগাদ তার দেহ ভেসে উঠলে পরিবারকে জানানো হয়। গোটা ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন মৃত ছাত্রের বাবা-মা। কলেজের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।

[গোপনে রাম রহিমের সন্তানের ‘মা’ হতে চেয়েছিল হানিপ্রীত!]

কলেজ চত্বরে মৃত ছেলের দেহ রেখে প্রতিবাদ বিক্ষোভে বসে বিশ্বাসের পরিবার। তাঁদের দাবি,  কলেজের তরফেই NCC ক্যাম্পটি করা হয়েছিল। কিন্তুএখন কলেজ কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ