সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘটনাটা শুরু হয় ২০০৮ সাল নাগাদ। মোটামুটি আগস্ট মাস থেকে। তিথিটা ছিল অমাবস্যা!
অন্য দিনের মতো সে দিনও সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। যাত্রীরা যাতায়াত করছিলেন নিজেদের মতো, বিমানবন্দরের কর্মীরা ব্যস্ত ছিলেন যে যাঁর কাজে!
কিন্তু, আদপেই যে কিছু ঠিক নেই, সেটা জানা গেল রাতের এক বিমানের উড়ানের সময়! প্লেন ছাড়ার আগের মুহূর্তে দেখলেন পাইলট- সাদা শাড়ি পরা এক মহিলা হেঁটে যাচ্ছেন রানওয়ে ধরে। লম্বা খোলা চুল আড়াল করে রেখেছে চেহারা, মুখ দেখা যাচ্ছে না।
বলাই বাহুল্য, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে খবরটা দিতে দেরি করেননি ওই বিমানচালক! তারা সঙ্গে সঙ্গে ওই মহিলাকে উদ্ধার করার জন্য লোকও পাঠায়! কিন্তু, সবার চোখের সামনেই দেখতে দেখতে হাওয়ায় মিলিয়ে যান ওই মহিলা!
এর পর খবরটা দ্রুত চাউর হয়ে যায় বিমানবন্দরের নানা কর্মীদের মধ্যে। একটা থমথমে রহস্য অস্বস্তিতে রাখে সবাইকেই।
তবে, খবরটা চাউর না হলেও তেমন ক্ষতি ছিল না। এক এক করে অনেক বিমানবন্দর-কর্মীই এর পর দেখা পেতে থাকেন ওই মহিলার। চলন্ত সিঁড়িতে, কার্গো দফতরে, লাউঞ্জে- রাত নামলেই দেখা যেতে থাকে ওই মহিলাকে।
মনে হতেই পারে, ভুতুড়ে গল্প বিক্রির এটাও আরেকটা চেষ্টা!
কিন্তু, ওই অমাবস্যার পর থেকেই নানা অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে থাকে বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। যেমন, যে বিমানচালক ওই মহিলাকে প্রথম দেখেছিলেন, তাঁকে আর কোনও দিন কেউ দেখেননি!
কেন- প্রশ্ন তোলা হলে উত্তর যা-ই আসুক, খুব একটা স্বস্তিকর কিছু হবে না! কোনও অভিশাপ কি গ্রাস করে তাঁকে? না কি, বিমানবন্দরের কর্মীদের মুখ বন্ধ রাখার জন্য সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে?
পাশাপাশি, কার্গো-কর্মীরা হামেশাই দেখা পেতে থাকেন ওই মহিলার! মনে হয়, তিনি যেন কিছু বলতে চাইছেন ওঁদের!
কিন্তু, কোনও প্রশ্ন করতে গেলেই হাওয়ায় মিলিয়ে যান ওই মহিলা! তাঁকে ধরা-ছোঁওয়া যায় না! কেনই বা তিনি বিমানবন্দরে ঘুরে বেড়ান, জানা যায় না তাও!
সব রহস্যের যে কিনারা হবেই, তার কি কোনও মানে আছে?