সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপরাধ ও অপরাধ প্রবনতা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে হয় না। তবে পণকেন্দ্রিক অপরাধে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারীদেরই ভুক্তভোগী মনে করা হয়। তাই কী হয় হামেশা? না তা হয় না। অন্তত মনোজ শর্মার ক্ষেত্রে তো হয়নি। যে স্ত্রীকে পণের জন্য হত্যা করার অভিযোগ প্রায় দুই বছর ধরে জেলের ঘানি টানছেন তিনি, সেই স্ত্রীই এতদিন দিব্যি লুকিয়ে সংসার করছিল প্রেমিকার সঙ্গে। গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিহারের মুজাফ্ফরপুরে।
[ওড়িশার নন্দনকানন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই খুদে ‘বাহুবলী’]
২০১৫ সালে পিঙ্কি নামে পঁচিশ বছরের সঙ্গে বিয়ে হয় মনোজের। কিন্তু বিয়ের এক মাসের মধ্যেই নিখোঁজ হয়ে যায় যুবতী। যার জেরে সারিয়ার পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন পিঙ্কির পরিবারের লোকজন। পণের জন্য তার উপর অত্যাচার করা হত বলে দাবি করা হয়। কিছুদিন বাদে এলাকার কাছেই একটি বিকৃত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পিঙ্কির পরিবার দেহটিকে শনাক্ত করে। পণের জন্য গৃহবধূর হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় মনোজকে। এখনও জেলেই রয়েছে সে।
কিছুদিন আগেই মনোজের পরিবারের কাছে তাঁদের এক আত্মীয়র ফোন আসে। তিনি দাবি করেন, পিঙ্কিকে অন্য এক যুবকের সঙ্গে দেখেছেন মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে। পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানান গোটা ঘটনা। পরিবারের সদস্য সহ পুলিশ মধ্যপ্রদেশ যায়। তাঁদের সাহায্যে শনাক্ত করেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম ময়ূর মালিক। বিয়ের আগে থেকেই পিঙ্কির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। বিয়েটা হয়েছিল পিঙ্কির অমতে। পুলিশের অনুমান, প্রেমিকের সঙ্গে মিলেই ষড়যন্ত্র করে মনোজকে ফাঁসিয়েছে পিঙ্কি। আর এই ষড়যন্ত্রে আরও অনেকে যুক্ত রয়েছে বলে অনুমান।
[কিশোরের মাথা কেটে থানার মধ্যে ছুড়ে পালাল দুষ্কৃতীরা]
আপাতত পিঙ্কি ও ময়ূরকে বিহারে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখানে পিঙ্কিকে শনাক্ত করবে তার পরিবারের লোকেরা। এরপরই মনোজের রেহাই নিশ্চিত করা হবে। আর পিঙ্কি ও ময়ূরের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করা হবে।