সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাম মন্দির কোনও একটি ধর্মের প্রতীক নয়। এটি সমগ্র ভারতের ঐতিহ্য বলে দাবি করেন সংঘ ও বিজেপি নেতারা। তারই সুরে সুর মিলিয়ে এই মন্দির তৈরির জন্য সব ধর্মের মানুষের থেকে অনুদান নেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন রাম মন্দির (Ram Temple) ট্রাস্টের সদস্যরা। এবার একধাপ এগিয়ে রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে সোজাসুজি এআইএমআইএম (AIMIM) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকেই আমন্ত্রণ জানিয়ে বসলেন এক বিজেপি নেতা। তেলেঙ্গানা বিজেপির মুখপাত্র ওই নেতার নাম কৃষ্ণা সাগর রাও।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভূমিপুজো হবে আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেখানে উপস্থিত থেকে অভূতপূর্ব ওই মন্দিরের নির্মাণ কার্যের সূচনা করবেন। ওইদিন ভগবান রামের জন্মভূমির বাসিন্দারা রাম মন্দির তৈরির সূচনা মুহূর্তকে উদযাপন করবেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা হিন্দুদের বহুদিনের এই স্বপ্ন নিজেদের শাসনকালের মধ্যে সম্পন্ন হচ্ছে বলে বিজেপিও গর্বিত।
[আরও পড়ুন: রাম মন্দিরের ভূমিপুজোতেও করোনার কোপ! বেঁধে দেওয়া হল নিরাপত্তাকর্মীদের বয়স ]
আনন্দের এই সময়ে যাঁরা রাম মন্দির তৈরির বিরোধিতা করেছিলেন তাঁদের পাশে পেতে চান ওই বিজেপি নেতা। বলেন, “রাম মন্দিরের বিরোধিতা করার কোনও মানে ছিল না। দেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেকের ধর্মাচরণের অধিকার রয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নিজের পছন্দ অনুযায়ী ধর্মাচরণ করতে পারেন। আমি আসাদউদ্দিন ওয়েইসি ও বামপন্থী নেতাদের রাম মন্দিরের ভূমিপুজোয় আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তাঁরা যদি সত্যিই ধর্মনিরপেক্ষ হন তাহলে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজেদের সহিষ্ণুতা ও ধর্মনিরেপক্ষ মনোভাবের পরিচয় দিন।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জুলাইয়ের ২৮ তারিখ রাম মন্দিরের ভূমিপুজোয় উপস্থিত থাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করেন এআইএমআইএম সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাম মন্দিরের ভূমিপুজোয় যাওয়া উচিত নয় নরেন্দ্র মোদির। কারণ, প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাওয়া মানে সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার শর্ত লঙ্ঘন করা। তাই মোদির দেশকে জানানো উচিত, তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ওই অনুষ্ঠানে যাবেন, নাকি ব্যক্তি হিসেবে।’ তারই জবাবে তেলেঙ্গানার ওই বিজেপি নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে (Asaduddin Owaisi) রাম মন্দিরের ভূমিপুজোয় আমন্ত্রণ জানালেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।