Advertisement
Advertisement

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদ, অসমে বিজেপি ছাড়লেন একগুচ্ছ নেতা

জোট ছাড়ার হুমকি দিয়েছে অসম গণ পরিষদও।

Blow to BJP in Assam
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:November 22, 2018 6:06 pm
  • Updated:November 22, 2018 6:06 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে অসমে প্রবল চাপে বিজেপি। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সমর্থন করায় দলের অভ্যন্তরে প্রবল অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এমনকী হিড়িক পড়েছে দল ছাড়ারও। বুধবারও বিশ্বনাথ জেলার ৩৫ জন নেতা বিজেপি ছেড়েছেন। এরা সকলেই যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। মন্ত্রিসভার সদস্য তথা অসমের বিজেপি প্রধান রঞ্জিত দাসের কেন্দ্র বিশ্বনাথ। এঁরা সকলেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ক্ষুব্ধ  সম্প্রতি দল ছেড়েছেন আরও এক বিজেপি বিধায়ক। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহার না করা হলে জোট ছাড়ার হুমকি দিয়েছে অসম গণ পরিষদ। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে আলাদা লড়ার কথা ঘোষণাও করেছে তারা।

[বাংলাদেশি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব নয়, সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উঠল দাবি]

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬ অনুযায়ী বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আগত অ-মুসলিম (হিন্দু, শিখ, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ) শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করছে অসম গণ পরিষদ (এজিপি)। তাদের দাবি, বাংলাদেশি হিন্দুদের (বাঙালি) নাগরিকত্ব প্রদান করলে অসমীয়াদের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। লক্ষণীয়ভাবে আটের দশকে ‘বাঙাল খেদাও’ জিগির তুলে অসমে ক্ষমতায় আসে এজিপি। একাংশের অভিযোগ, ফের উগ্র জাতীয়তাবাদে হাওয়া দিয়ে রাজনৈতিক মুনাফা আদায়ের চেষ্টা করছে দলটি।

Advertisement

[পাকিস্তানের ইশারাতেই একজোট হয়েছে বিরোধীরা! বিস্ফোরক কাশ্মীরের রাজ্যপাল]

সম্প্রতি, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও হয়ে গিয়েছে। যাতে জোরাল ভাবে সংশোধনী থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে এজিপি। এদিকে, এই সংশোধনী পাশ হওয়ার আগেই অসমে নতুন করে বাঙালি বিদ্বেষ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে উলফা। নতুন করে উলফাতে যোগদানের প্রবণতাও বাড়ছে। শোনা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই উগ্রবাদী সংগঠনটির সদস্য হয়েছেন বেশ কিছু স্থানীয় যুবক। যদিও, অসমের অর্থমন্ত্রী তথা উত্তরপূর্ব ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই ঘটনাকে স্বাভাবিক প্রবণতা হিসেবেই দেখছেন। তিনি বলেন,  প্রতিবছরই ১৫০-২০০ জন উলফায় যোগ দেন। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।পুলিশ প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে এই প্রবণতা আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ