Advertisement
Advertisement

বাড়ির সামনেই গাছে দুই বোনের ঝুলন্ত দেহ, জোড়া মৃত্যুতে ঘনাল রহস্য

সম্মান রক্ষার্থে খুন?

Bodies of 2 teen sisters found hanging from a tree, 'honor killing' suspected
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 26, 2017 2:42 pm
  • Updated:June 4, 2019 7:27 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  মেয়েরা যে বিছানায় নেই, ভোররাতেই টের পেরেছিলেন মা। কিন্তু, মেয়েদের খোঁজ না নিয়েই ফের ঘুমিয়ে পড়েন ওই মহিলা। সকালে যখন ঘুম ভাঙল, ততক্ষণে এলাকায় পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে। বাড়ির কাছে একটি গাছ থেকে দুই বোনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে নয়ডায়। প্রতিবেশীদের সন্দেহ, পরিবারের সম্মান বাঁচাতে তাদের খুন করেছে মা-বাবাই।

[বাণিজ্যিক উড়ানে সবুজ সংকেত পেল ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ডর্নিয়ার]

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, নয়ডায় সেক্টর-৪৯ থেকে যাদের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তাদের নাম লক্ষ্মী ও নিশা। লক্ষ্মীর বয়স ১৮, নিশার ১৪। নয়ডায় ভাড়া বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে্ থাকত দুই বোন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোরে বাড়ির কাছে একটি গাছে লক্ষ্মী ও নিশার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা। বাড়িতে গিয়ে দেখেন, ওই দুই কিশোরীর বাবা-মা তখনও ঘুমোচ্ছেন। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। প্রতিবেশীদের দাবি, অনেক ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই প্রতিবেশিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় যায় পুলিশ। এরপরই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন লক্ষ্মী ও নিশার বাবা-মা। এমনও শোনা যাচ্ছে, ভোর সাড়ে চার নাগাদ নাকি একবার ঘুম ভেঙে গিয়েছিল লক্ষ্মী ও নিশার মায়ের। তথন তিনি দেখেন, মেয়েরা বিছানায় নেই। কিন্তু, বাথরুমে গিয়েছে ভেবে ফের ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। বাবা-মায়ের এই আচরণে সন্দেহ দানা বেঁধেছে প্রতিবেশীদের। তাঁদের দাবি, পরিবারের সম্মান বাঁচানোর জন্য দুই বোনকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে তাদের মা-বাবাই।

Advertisement

[খুলে নেওয়া হয়েছিল কুলভূষণের স্ত্রীর মঙ্গলসূত্র, ফেরত দেওয়া হয়নি জুতোও]

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই দম্পতির আরও তিন মেয়ে ও এক ছেলে আছে। তাঁরাও ওই ভাড়া বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকে। লক্ষ্মী ও নিশার বাবা একটি বেসরকারি হাসপাতালে সাফাইকর্মী হিসেবে কাজ করেন। আত্মহত্যার মামলা রুজু করেছে তদন্ত করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, দুই মেয়ের মৃত্যুর জন্য তাদের এক তুতোভাইকে দায়ী করেছেন মা। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ওই তুতোভাইয়ের সঙ্গে এক যুবতীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, লক্ষ্মী ও নিশার পরামর্শেই বিয়েতে বেঁকে বসেন ওই যুবতী। সেই রাগেই ওই দু’জনকে সম্ভবত খুন করেছে তাদেরই তুতোভাই। নয়ডার পুলিশ সুপার একে সিং জানিয়েছেন,‘প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’

 

[অ্যাম্বুল্যান্সে গেল মদ, রাশিয়ান সুন্দরীদের তালে নাচলেন ডাক্তাররা!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ