সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে ভারত-পাক সীমান্তে ‘অপারেশন অর্জুন’ শুরু করল ভারতীয় সেনা। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে পাক সেনাকর্তাদের বাড়ি, ঘাঁটি, দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ভারতীয় জওয়ানরা। সূত্রের খবর, পাক সেনার ওই দপ্তর বা বাড়ির ছাদে স্নাইপার বসানো হচ্ছে। ওই স্নাইপারদের গুলিতেই গত এক মাসে বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছেন। মুখে শান্তি প্রস্তাব দিলেও পাকিস্তান আদতে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে সেনার রক্তক্ষরণ করে চলেছে। এই পরিস্থিতি আর চলতে দেওয়া হবে না। আর তাই শুরু হয়েছে অপারেশন অর্জুন। গতবছর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর প্রায় তিনমাস ধরে ‘অপারেশন রুস্তম’ চালিয়েছিল সেনা। বিএসএফের গোলাগুলি থামাতে পাক সেনা বাধ্য হয়েছিল সাদা পতাকা তুলে সীমান্তে কার্যত আত্মসমর্পণ করতে।
আর এই নয়া অপারেশনের আওতায় সেনাকে পর্যাপ্ত গোলাবারুদ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাক স্নাইপারদের নিশানা করে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করছে সেনা। বেছে বেছে সেই সব বাড়ি ও দপ্তরকেই নিশানা করা হচ্ছে, যেগুলি পাক রেঞ্জার্স, গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বা অবসরপ্রাপ্ত পাক সেনাকর্তারা ব্যবহার করেন। ওই বাড়িগুলিকে ঘাঁটি করে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করাচ্ছে পাকিস্তান। জঙ্গিদের ‘ওয়ার্ক স্টেশন’ হয়ে উঠেছে ওই ঘাঁটিগুলি। সেখান থেকেই মিলছে খাদ্য, প্রযুক্তিগত সাহায্য ও অস্ত্র। তাই বিএসএফকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে অভিযান চালিয়ে পাক জঙ্গিদের মাথার উপরের ছাদ কেড়ে নিতে হবে। যাতে আর একজনও ভারতীয় নাগরিক প্রাণ না হারান।
সূত্রের খবর, বিএসএফের প্রবল গোলাগুলিতে ব্যাপক চাপে পড়ে গিয়েছে ইসলামাবাদ। পরিস্থিতি এমনি যে পাক রেঞ্জার্সের পাঞ্জাবের ডিজি জেনারেল আসগর নাভিদ হায়াত খান বিএসএফএর ডিরেক্টর কে কে শর্মার কাছে কার্যত হাতজোড় করে অনুরোধ জানিয়েছেন গোলাগুলি থামাতে। কিন্তু শর্মা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পাক সেনা বিনা প্ররোচনায় যেভাবে গুলি চালিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা করেছে, তা না থামালে ভারতও আগ্রাসী পদক্ষেপ করবে। ‘অপারেশন অর্জুন’-কে সফল করতে বিএসএফ ছোট, মাঝারি ও স্বল্পপাল্লার আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করবে। একটি সূত্রের দাবি, ভারতের অভিযানে পাকিস্তানের অন্তত সাতজন রেঞ্জার্স ও ১১ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। ৮১ এমএমের মর্টার ব্যবহার করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কতগুলি পাক সেনাঘাঁটি ও আউটপোস্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.