সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বিরাট অংশ গরুকে দেবতার আসনেই বসায়। গো-মাতা হিসেবে পুজোর চলন সেই পুরাণ মেনেই করে আসছেন ভক্তরা। সেই ট্র্যাডিশন এখনও চলছে। আর সেই কারণেই বর্তমানে গো-হত্যা রুখতে আরও সক্রিয় হয়েছে সরকার তথা বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনগুলি। যেখানে গরুকে ঈশ্বরতূল্য মনে করা হয়, সেখানে বাস্তবের মাটিতে কোনও গরুর মধ্যে যদি থাকে কোনও আলৌকিক ও চমকপ্রদ বিষয়, তাহলে তো আর কথাই নেই। উত্তরপ্রদেশের মুজাফ্ফরনগরে এমনই এক অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের দেখা মিলল। যার শরীরের বাকি অংশ গবাদি পশুটির মতো হলেও মাথাটি এক্কেবারে মানুষের মতো।
গত বৃহস্পতিবার মুজাফ্ফরনগরের একটি গ্রামে জন্ম নেওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই প্রাণ হারায় সে। এমন চেহারার বাছুর তো আর সচরাচর দেখা যায় না। তাই তাকে দেখতে ভিড় জমিয়েছেন আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দারাও। সকলেই মনে করছেন, এ যেমন-তেমন বাছুর নয়। এই রূপে ধরাভূমে আবির্ভাব ঘটেছে স্বয়ং বিষ্ণু অবতারের। আর তাই মানুষের মতো মাথা নিয়ে জন্মানো গরুকে রাখা হয়েছে বিশেষ কাচের বাক্সে। তাকে দেখার উৎসাহ গ্রামের আট থেকে আশি, সকলেরই। আর শুধু এক ঝলক দেখাই নয়, দর্শনের পর দেবতা হিসেবে তাকে পুজো করছেন ও দক্ষিণাও দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা। ভিডিওতে তাঁদের উৎসাহের ছবি ধরা পড়েছে।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী মহেশ কাঠুরিয়া বলেন, “বাছুরের রূপে স্বয়ং ঈশ্বর আমাদের দেখা দিয়েছেন। তাঁর আশীর্বাদ পেতেই দর্শন করতে এসেছি। ভগবত পুরান অনুযায়ী, ইনি বিষ্ণুর অবতার। কারণ সেখানে এমন এক চরিত্রের উল্লেখ রয়েছে।” ৫৫ বছরের রাজা ভাই মিশ্র জানান, মাস ছয়েক আগে এক কসাইয়ের হাত থেকে রক্ষা করে এই বাছুরের মাকে গো-শালায় নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানেই জন্ম নেয় এই অলৌকিক বাছুর। মৃত্যুর তিনদিনের মধ্যেই ওর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। শুধু তাই নয়, তার নামে তৈরি করা হবে একটি মন্দিরও। তবে চিকিৎসকের মতে, সময়ের আগেই ভূমিষ্ঠ হওয়ার কারণেই বাছুরের চেহারা এমন। কিন্তু কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ তা মানতে রাজি নন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.