প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভুলবশত মরে গিয়েছে বাছুর। কিন্তু তাতেই বিপাকে মধ্যপ্রদেশেক ভিন্দ শহরের এক মহিলা। পঞ্চায়েতের নিদান, তিনি দোষ করেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে সেটিকে মেরে ফেলেছেন। আর তাই তাঁকে গঙ্গাস্নান করে পাপ ধুতে হবে। এখানেই শেষ নয়, গঙ্গাস্নানের জন্য টাকা জোগাড় করতে ওই মহিলাকে ভিক্ষা করতে হবে। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটছে ভিন্দ শহরের বাসিন্দা কমলেশ শ্রীবাসের সঙ্গে। গ্রাম পঞ্চায়েতের নিদানে আপাতত গ্রামছাড়া ওই মহিলা।
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাবশতই মারা গিয়েছিল বাছুরটি। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েতের নিদানে দোষী সাব্যস্ত হন ওই মহিলা। কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল? কমলেশ জানান, সকাল ৬টা নাগাদ মায়ের কাছ থেকে বাছুরটিকে সরাতে যান তিনি। তখনই দুর্ঘটনাবশত সেটির গলায় দড়ির ফাঁস লেগে যায়। এতেই মারা যায় বাছুরটি। এরপরই সেই খবর গোটা এলাকায় চাউর হয়ে যায়।
ঘটনার কথা জানাজানি হতেই সকাল ১০টা নাগাদ নাই সম্প্রদায়ের মোড়লরা পঞ্চায়েত ডাকেন। সেখানেই ৫০ বছর বয়সি কমলেশকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। নিদান দেওয়া হয়, তাঁকে গ্রাম ছেড়ে আশেপাশের গ্রামগুলিতে সাতদিন ভিক্ষা করতে হবে। এরপর সেই টাকা দিয়ে গঙ্গা স্নান করে পাপ ধুতে হবে। ইতিমধ্যে ওই মহিলাকে গ্রামছাড়াও করা হয়েছে।
ওই এলাকার মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলর মুকেশ গর্গ ফোনে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে স্বীকার করে নেন বাছুরটি ওই মহিলার নিজের এবং দুর্ঘটনাবশতই সেটি মারা গিয়েছে। কিন্তু তিনি চেষ্টা করেও এই রায় আটকাতে পারেননি। এছাড়া বলেন, ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও ওই মহিলা এখনও বাড়িতে ফেরেননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.