সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৮০০ কোটি টাকার ঋণখেলাপের অভিযোগ। এই সুযোগে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বিক্রম কোঠারি। এমন খবর নস্যাৎ করে দেন খোদ রোটোম্যাকের মালিক। নিজেকে সৎ প্রমাণের চেষ্টা করেছিলেন। বন্ধুর মেয়ের বিয়েতেও তাঁকে দেখা যায়। তারপরই ধরা পড়ে গেলেন এই শিল্পপতি। তাঁকে আটক করল সিবিআই।
[আরও এক নীরব মোদি! ৮০০ কোটি ঋণখেলাপ করে উধাও Rotomac মালিক]
সোমবার কানপুরে ওই শিল্পপতির বাসভবনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা অভিযান চালান। রীতিমতো আঁটঘাট বেধে নামেন তদন্তকারীরা। তারপরই ধরে পড়ে যান বিক্রম কোঠারি। তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। ৮০০ কোটি টাকা না মিটিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন রোটোম্যাকের মালিক। রবিবার এই খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। নীরব মোদির পলায়ন পর্বের মধ্যে বিক্রমের অজ্ঞাতবাস নানা প্রশ্ন তুলে দেয়। তিনি কি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। কারণ পাঁচ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে বছর খানেক আগে ৮০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পর সুদ বা আসল, কোনওটাই দেননি কোঠারি। পলায়নের জল্পনা উসকে দিয়ে তাঁর সংস্থার প্রধান দপ্তরেও কয়েক দিন আগে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। রবিবার তদন্তে নামে সিবিআই। এদিন তাঁর নামে এফআইআর করা হয়। এরই মধ্যে রবিবার এক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের মালিকের মেয়ের বিয়েতে গিয়েছিলেন রোটোম্যাক কর্ণধার। তাঁর ছবি প্রকাশ্যে আসার পর তদন্তাকারীদের কাজ খানিকটা সহজ হয়ে যায়।
[প্রতি ৪ ঘণ্টায় জালিয়াতিতে ধরা পড়েন ১ ব্যাংককর্মী, আরবিআই রিপোর্টে হইচই]
পলায়ন পর্ব নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে কোঠারি জানিয়ে দেন তিনি কোথাও পালাননি। জন্মভূমিতেই আছেন। পাশাপাশি বিক্রম কোঠারি দাবি করেন, এটা কোনও কেলেংকারি নয়। ঋণ খেলাপ করেননি। ব্যাংক তাঁর সংস্থাকে এনপিএ হিসাবে ঘোষণা করে। ব্যাংকের সঙ্গে তিনি সবরকম সহযোগিতা করেছেন। আর টাকা প্রতারণার কথা যেটা বলা হচ্ছে তা বিচারাধীন। বিষয়টি ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনাল দেখছে। নিজেক পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির হিসাবে প্রমাণ করতে চাইলেও এযাত্রায় রক্ষা পেলেন না রোটোম্যাক কর্তা। রোটাম্যাকের মালিক পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে ৮০০ কোটি টাকার ঋণ নেন। এলাহাবাদ ব্যাংক, ব্যাকং অফ বরোদা, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া কোঠারি লোন দেওয়ার জন্য নাকি বেশ কিছু নিয়মও শিথিল করে। অবশেষে জালিয়াতি ধরা পড়ে গেল।
[ভোটের মুখে অশান্ত মেঘালয়, আইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু এনসিপি প্রার্থীর]