সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একই দিনে দুটি অর্ধে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব দিল সেট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন বা সিবিএসই। বোর্ডের প্যানেল কমিটি প্রস্তাব খতিয়ে দেখার পরই এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
[কাশ্মীরের বালাকোট সেক্টরে প্রবল গোলাবর্ষণ পাকিস্তানের]
দেশের বৃহত্তম স্কুল বোর্ড সিবিএসই। সারা দেশে এই বোর্ডের অধীনস্থ স্কুলের সংখ্যা ১৮ হাজার। সাধারণভাবে মার্চ মাসে সিবিএসই বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হয়। তবে একই সময়ে শুরু হলেও, দুটি পরীক্ষার সময়সূচি আলাদা। সম্প্রতি সিবিএসইর দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার মূল্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রেই পূণর্মূল্যায়নের পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরেও বেশ বড়রকমের হেরফের ঘটতেও দেখা গিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে দিল্লি-সহ দেশের মেট্রো শহরের স্কুলগুলির প্রিন্সিপালদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বোর্ডের প্রতিনিধিরা। সেই বৈঠকেই একই দিনে সকালে দ্বাদশ শ্রেণি ও দুপুরে দশম শ্রেণির পরীক্ষার নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সিবিএসসি বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছে,একই দিনের দুটি অর্ধে যদি পরীক্ষা নেওয়া হয়, তাহলে একদিকে যেমন অল্প সময়েই মধ্যে দুটি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে, তেমনই শিক্ষকরাও খাতা দেখার জন্য অতিরিক্তি সময় পাবেন। তাতে মূল্যায়নে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমবে। যদিও সিবিএসই বোর্ডের প্রতিনিধিদের দাবি, প্রতি বছর লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বসে। তাই প্রতিটি পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর যোগ করা এবং সেই নম্বরগুলিকে কম্পিউটারে নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
[রাইসিনার দৌড়ে কোবিন্দ-মীরা, শুরু রাষ্ট্রপতি নির্বাচন]
বস্তুত, বৈঠকে, কোন শিক্ষক ভালো খাতা দেখেন, সে বিষয়ে পড়ুয়াদের মতামত নেওয়ার পরামর্শ নেওয়া, খাতা পিছু শিক্ষকদের পারিশ্রমিক কমপক্ষে ২০ শতাংশ বাড়ানো ও শিক্ষক পিছু খাতার সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার মতো আরও বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে একবার ফল প্রকাশের পর ফের খাতা পুনর্মূল্যায়নের বিরোধিতা করেছেন সিবিএসই অধীনস্থ অধিকাংশ স্কুলের প্রিন্সিপালরাই। তবে নম্বর যাচাই করে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্য তাঁদের কোনও আপত্তি নেই।