সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের বাভাওয়ালিতে সিমেন্ট বোঝাই লরি উলটে অন্তত ১৯ জন শ্রমিকের মৃত্যু। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬ জন। মৃতদের মধ্যে ১২ জন ছিলেন মহিলা। ছিলেন ৩ জন নাবালকও। শনিবার সকালে পূর্ব গুজরাটের বাভাওয়ালি থেকে আনন্দ জেলার দিকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রাকটি। মালবাহী গাড়িটি পুরোপুরি ভর্তি ছিল সিমেন্টের বস্তায়। বস্তার উপরেই বসেছিলেন প্রায় জনা পঁচিশেক শ্রমিক। আনন্দ জেলারই কোনও কারখানায় কাজে যাচ্ছিলেন তাঁরা।
Gujarat: 19 people killed, 7 injured after a cement laden truck turned turtle on Bhavnagar-Ahmedabad highway, near Bavalyali village in Bhavnagar this morning. pic.twitter.com/2RIkj90nBx
— ANI (@ANI) 19 May 2018
দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি উলটে গেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য না পাওয়া গেলেও পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, চাকা স্লিপ কেটে রাস্তার নিচে নেমে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। তারপরই রাস্তার পাশে উলটে যায় লরিটি। ওভারলোডিংয়ের ফলেও দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। সিমেন্টর বস্তার তলায় চাপা পড়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অধিকাংশ যাত্রীর। তবে, পুরো বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
[কর্ণাটকের মসনদে জোট না বিজেপি? উত্তর মিলবে গোধূলি লগ্নে]
ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। টুইটে তিনি বলেছেন, ‘ভাবনগর-আমেদাবাদ হাইওয়ের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির খবরে আমি শোকগ্রস্ত। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
Saddened by the loss of lives due to a road accident near Bhavnagar – Ahmedabad Highway. May those who have been injured recover at the earliest. I pray for the departed souls. Om Shanti.
— Vijay Rupani (@vijayrupanibjp) 19 May 2018
[ডিভিশন লেভেলে নিষিদ্ধ হল রেল পুলিশের সংগঠন]
দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান দুর্ঘটনা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। গত শুক্রবারই উত্তরাখণ্ডে লরি উলটে মৃ্ত্যু হয়েছিল ১১ জন তীর্থযাত্রীর। গতমাসে মধ্যপ্রদেশে একটি স্কুলবাস দুর্ঘটনায় ১৩টি শিশুর মৃত্যু হয়। বাদ যায়নি এরাজ্যও। মুর্শিদাবাদে পথ দুর্ঘটনায় প্রচুর মানুষ প্রাণ হারান। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছর ভারতে শুধুমাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দেড় লক্ষ মানুষ। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের তথ্য বলছে, এর জন্য অনেকাংশে দায়ী বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার চালকদের গাফিলতি।