সুব্রত বিশ্বাস: পূর্ব রেল থেকে মেট্রো কারও কপালে কিছু না জুটলেও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ল। কিছুটা খুশি এই ডিভিশনের রেলকর্তারা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অধীনস্থ এলাকায় লাইন রক্ষণাবেক্ষণ, ডবলিং, বৈদ্যুতিকীরণ, এমনকী স্টাফ কোয়ার্টার তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বস্তত, প্রতিক্ষেত্রেই গতবারের তুলনা বরাদ্দ বেড়েছে।
[রেল বাজেটে বাংলাকে বঞ্চনা, মেট্রো সম্প্রসারণ কার্যত হিমঘরে]
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অন্তর্গত চাণ্ডিল থেকে বার্ণপুর পর্যন্ত তৃতীয় লাইন তৈরির দাবি দীর্ঘদিনে। প্রস্তাবিত রেলপথটির দৈর্ঘ্য ১২৫ কিমি। এবারের বাজেটে এই প্রকল্পের জন্য ১৬৪৬. ৮১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। পুরুলিয়া থেকে কোটশিলা পর্যন্ত ডবলিংয়ের জন্য আলাদা করে ৩৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাঁকুড়া থেকে গমশাগ্রাম পর্যন্ত বৈদ্যুতিকীকরণের জন্য বরাদ্দ ৯২.৮ কোটি টাকা। লাইন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জুটেছে ৭৪. ৮৬ কোটি। যা গতবারের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। এ বছর ৮ শতাংশ বেশি অর্থ রবাদ্দ হয়েছে ডবলিংয়ের জন্য। টাকার অঙ্কটা প্রায় ৬৬ কোটি। লাইন রক্ষণাবেক্ষণ, ডবলিংই শুধু নয়, বাজেটে ওভারব্রিজ ও আন্ডারব্রিজ তৈরির জন্য ১০. ৩৮ কোটি টাকা পেয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে। এমনকী, স্টাফ কোয়াটার্স, হাসপাতাল, স্কুলের মতো রেলকর্মীদের কল্যাণমূলক প্রকল্পের ৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
[এনজেপি নয়, দার্জিলিং মেল এবার ছাড়বে আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে!]
এদিকে সমীক্ষার জন্য বরাদ্দ শূন্য করে বাংলার অধিকাংশ মেট্রো প্রকল্পগুলিকেই কার্যত হিমঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যে এখন তিনটি মেট্রো সম্প্রসারণের কাজ চলছে। জোকা থেকে ডায়মন্ডহারবার, নিউ গড়িয়া থেকে বারুইপুর ও বারাসত থেকে ব্যারাকপুর। কিন্তু, এই তিনটে প্রকল্পের সমীক্ষার জন্য কোনও বরাদ্দ রাখা হয়নি। ফলে প্রকল্পের কাজ প্রায় শিকেয় ওঠার জোগাড়। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কলকাতা ও শহরতলিকে মেট্রো রুটে বেঁধে ফেলার পরিকল্পনা করেছিলেম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেইমতো কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের দরুণ তা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। পাহাড় সফর থেকেই এই বঞ্চনার তীব্র সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আধারে নামের বানান ভুল? জিএসটি গেরোয় সংশোধনে এবার পকেটে কোপ!]