Advertisement
Advertisement

Breaking News

Electoral bonds

লোকসভার আগে আর০ ১০ হাজার কোটির বন্ড বিক্রি! বড়সড় পরিকল্পনা ছিল মোদি সরকারের

আরও ১০ হাজার কোটি টাকার বন্ড বিক্রি হলে এবারের নির্বাচনেও ব্যাপক 'বেআইনি' টাকা ঢুকে পড়ত।

Centre approved printing of 10,000 electoral bonds, three days before SC order

ফাইল ছবি।

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:March 30, 2024 6:30 pm
  • Updated:March 30, 2024 6:30 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha 2024) আগে আরও ১০ হাজার কোটি টাকার ইলেক্টোরাল বন্ড বিক্রির পরিকল্পনা ছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের। সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করায় সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়। এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রে।

কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের দাবি, অর্থমন্ত্রক লোকসভা ভোটের আগে আরও ১০ হাজার কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond) ছাড়ার চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছিল। প্রতিটি বন্ডের দাম ছিল ১ কোটি টাকা করে। সুপ্রিম কোর্টের প্রাথমিক রায়ের দিন কয়েক আগেই এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সেই মতো বন্ড ছাপার কাজ শুরুও করে স্টেট ব্যাঙ্ক। এর পর সুপ্রিম রায়ের বেশ কয়েকদিন পরে সেই বন্ড ছাপার প্রক্রিয়া বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয় স্টেট ব্যাঙ্ককে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অতি বিদ্যা ভয়ংকরী! উচ্চশিক্ষিতদের তুলনায় কাজের সুযোগ বেশি নিরক্ষরদের, বলছে সমীক্ষা]

১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। স্টেট ব্যাঙ্ককে বন্ড বিক্রি বন্ধ করতে বলা হয়। তার আগেই প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার বন্ড ভাঙানো হয়ে গিয়েছিল। বিক্রি হয়েছিল আরও ৮ হাজার কোটি টাকার বন্ড। এবং প্রত্যাশিতভাবেই সেই বন্ড থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে বিজেপি (BJP)। ৬৯৮৬.৫ কোটি টাকা পড়েছে গেরুয়া শিবিরের তহবিলে। সুপ্রিম নির্দেশে স্টেট ব্যাঙ্ক (SBI) নির্বাচনী বন্ডের তথ্য প্রকাশ করার পরই নানাভাবে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলছে বিরোধীরা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বন্ডের মাধ্যমে যেসব অনুদান করা হয়েছে তা বেশ সন্দেহজনক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এপ্রিলে ১৪ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা! জেনে নিন জরুরি তথ্য]

কোনও সন্দেহ নেই, আরও ১০ হাজার কোটি টাকার বন্ড বিক্রি হলে, সেটাও খরচ হত এবারের লোকসভা নির্বাচনে। আর এই ১০ হাজার কোটি টাকার একটা বড় অংশ যেত বিজেপির তহবিলে। কারণ শীর্ষ আদালত বন্ড মারফত থেকে টাকা তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আগে পর্যন্ত সেই ট্রেন্ডই দেখা গিয়েছে। সময়মতো সুপ্রিম কোর্ট বন্ড অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা না করলে এবারের নির্বাচনেও ব্যাপক ‘বেআইনি’ টাকা খরচ হত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ