সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা কালে নতুন করে মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিস। দেশজুড়ে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু কোভিডজয়ী। এমনকী মৃত্যুও হচ্ছে অনেকের। এই পরিস্থিতিতে কালো ছত্রাকের হানাকে রাজস্থান ও তেলেঙ্গানা মহামারী ঘোষণা করেছে। এবার সেই পথে হাঁটল কেন্দ্র সরকার। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে দেশে ‘মহামারী’ ঘোষণা করতে চলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যগুলির জন্য বিশেষ নির্দেশিকাও জারি করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে এমনটাই খবর।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, “মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে ১৮৯৭-এর মহামারী আইনের অন্তর্গত ‘নোটিফায়েবল’ অসুখ হিসেবে চিহ্নিত করা হোক।” অর্থাৎ, এই ধরনের রোগীর হদিশ পেলেই সরকারিভাবে রোগীর নাম নথিভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি সমস্ত সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোম, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই অসুখের চিকিৎসার জন্য আইসিএমআর এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তৈরি করে দেওয়া নির্দিষ্ট গাইডলাইন মানারও নির্দেশ দিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক।
Union Health Ministry urged States to make mucormycosis a notifiable disease under the Epidemic Diseases Act 1897
— ANI (@ANI) May 20, 2021
কী এই মিউকোরমাইকোসিস? জানা যাচ্ছে, কালো ছত্রাক নামে পরিচিত এই ছত্রাকটি বাসা বাঁধছে করোনা রোগীদের ফুসফুসে। এর আগেও অবশ্য বহু রোগীর প্রাণ কেড়েছে এই ছত্রাক। ফুসফুস প্রতিস্থাপন কিংবা আইসিইউয়ে থাকা রোগীর ক্ষেত্রে ঘাতকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাকে।
উল্লেখ্য, করোনা কালে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে এই কালো ছত্রাকের হানা। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র দেড় হাজার জন এই অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুও হয়েছে বহু রোগীর। এ রাজ্যেও ৬ জনের দেহে কালো ছত্রাকের হদিশ মিলেছে। যা করোনা কালে চিন্তা আরও বাড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দাবি চিকিৎসক মহলের।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আক্রমণ নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, মিউকোরমাইকোসিসের চিকিৎসা অত্যন্ত খরচসাপেক্ষ। রোগীকে সারাতে একাধিক ইঞ্জেকশান দিতে হয়। যার দাম অনেকটা বেশি। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন আলাজা পরিকাঠামোও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ছাড়া ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা সম্ভব নয়। ফলে অতিমারী পরিস্থিতিতে এই রোগের হানা চিন্তা আরও বাড়াচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.