Advertisement
Advertisement
মহুয়া

বিরোধিতা করলেই দেশদ্রোহী বলা হবে কেন? সংসদে সওয়াল মহুয়ার

'মোদি সরকারের তিনজন মন্ত্রী আমার বিরোধিতায় আসরে নামছেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক।' মন্তব্য তৃণমূল সাংসদের।

Centre branding opposition as anti national, says Mahua Maitra
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 24, 2019 4:55 pm
  • Updated:July 25, 2019 2:35 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারের বিরোধিতা করা মানেই রাষ্ট্রের বিরোধিতা নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘নতুন’ ভারতের একাংশ হয়তো এই আপ্তবাক্য বিস্মৃত হয়েছে। সংসদে সেকথাই মনে করিয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সংসদের নিম্নকক্ষে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের উদ্দেশে মহুয়ার প্রশ্ন, কেন জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে কেউ সরকারের বিরোধিতা করলেই তাঁকে দেশদ্রোহী বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে? কেন সরকারের অপপ্রচার বাহিনী এবং ট্রোল আর্মি বিরোধীদের দেশবিরোধী প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টা করে?

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের উদ্দেশে মহুয়ার প্রশ্ন, কেন জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে কেউ সরকারের বিরোধিতা করলেই তাঁকে দেশদ্রোহী বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে? 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘মধ্যস্থতার কোনও প্রশ্নই ওঠে না’, ট্রাম্পের দাবি খারিজ করলেন রাজনাথ]

বুধবার সংসদে ইউএপিএ-আইনের সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মহুয়া মৈত্র সরকারের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমার কিছু বললেই বলা হচ্ছে যা বলছেন ভেবে বলুন। নিজের কথা ফিরিয়ে নিন। মাননীয় মন্ত্রী সর্দার প্যাটেলের আসনে বসেন। প্যাটেল ভারতের ঐক্যের কান্ডারী ছিলেন। তিনি একসময় বলেছিলেন, নাগরিকদের স্বাধীনতার অধিকার রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য। দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। শুধু সর্দার প্যাটেলের মূর্তি বানালেই হবে না। আমাদের তাঁর মতো আচরণও করতে হবে।” এরপর তৃণমূল সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, “যখনই আইনশৃঙ্খলা, জাতীয় নিরাপত্তা, এবং নৈতিকতার ইস্যুতে আমরা বিরোধিতা করি তখনই আমাদের দেশদ্রোহী বলা হবে কেন? সরকারের অপপ্রচার বাহিনী এবং ‘ট্রোল আর্মি’ ‘ওভার টাইম’ কাজ করছে আমাদের দেশদ্রোহী প্রমাণ করার জন্য। কেন এমন হবে?”

Advertisement

[আরও পড়ুন: অসহিষ্ণুতা ইস্যুতে ফের সরব বিদ্বজ্জনরা, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শ্যাম বেনেগাল-অপর্ণা সেনদের]


মহুয়ার এই বক্তব্যের বিরোধিতায় সরব হন মোদি সরকারের একাধিক মন্ত্রী। তাদের দাবি, তৃণমূল সাংসদ যে অভিযোগ করছেন তাঁর কোনও প্রমাণ তিনি দেখাননি। তাই দেশদ্রোহী শব্দটি তাঁকে ফিরিয়ে নিতে হবে। কিন্তু, মহুয়া তাতে দমে যাননি। উলটে তিনি বলেন, “মোদি সরকারের তিনজন মন্ত্রীকে আমার বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে, ট্রেজারি বোর্ডকে আমার বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমি আমার অবস্থানে স্পষ্ট।” এরপর কৃষ্ণনগরের সাংসদ হিন্দিতে একটি কবিতাও বলেন। তিনি আবৃত্তি করেন, “সব তেরে সিওয়া কাফির, আখির ইসকা মতলব কিয়া, সর ফিরা দে ইনসান কা খবত-এ মজহব ক্যায়া।”

তিনি আবৃত্তি করেন, “সব তেরে সিবা কাফির, আখির ইসকা মতলব কিয়া, সর ফিরা দে ইনসান কা খবত-এ মজহব ক্যায়া।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ