Advertisement
Advertisement

Breaking News

Jammu and Kashmir

স্বাভাবিক ছন্দে কাশ্মীর! দ্রুত বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু কেন্দ্রের

৩৭০ ধারা বাতিলের পর উপত্যকায় এটাই প্রথম বিধানসভা নির্বাচন।

Centre is likely to begin dialogue with the political parties in Jammu and Kashmir to initiate the political process | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 13, 2021 4:05 pm
  • Updated:June 13, 2021 5:43 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীঘ্রই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করতে চলেছে কেন্দ্র! উপত্যকার রাজনৈতিক মহলে এখন তেমনটাই জল্পনা। সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচন আয়োজন করার ব্যপারে খুব শীঘ্রই গুপকর জোটের (Gupkar Alliance) সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে সরকার। গুপকর জোটের নেতারাও কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে রাজি।

সদ্যই কাশ্মীরে জেলা উন্নয়ন পর্ষদের (DDCA) নির্বাচন সফলভাবে আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। দীর্ঘদিন বাদে নিরাপত্তারক্ষীদের অভেদ্য প্রহরায় কার্যত বিনা রক্তপাতে শেষ হয়েছে উপত্যকার নির্বাচন। যার ফলাফলে বিজেপি এবং বিরোধী দুই শিবিরই কার্যত সন্তুষ্ট। কারণ, জম্মু ও কাশ্মীরের জেলা উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাচনে ফারুখ আবদুল্লার নেতৃত্বাধীন গুপকর জোট একশোর বেশি আসন পেয়েছে। আবার একক বৃহত্তম দল হিসেবে বিজেপি (BJP) পেয়েছে ৭৪ আসন। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী দুই শিবিরই। সম্ভবত সফলভাবে এই নির্বাচনের আয়োজন এবং ফলাফলে সাফল্যের ইঙ্গিত মেলার পরই বিধানসভা নির্বাচন আয়োজনের কথা ভাবছে কেন্দ্র। সরকারিভাবে কিছু না জানানো হলেও কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রের খবর, শীঘ্রই নির্বাচন নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলতে চায় কেন্দ্র। আমন্ত্রণ পেলে যে তাঁদেরও কথা বলতে আপত্তি নেই, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন গুপকর জোটের নেতা ফারুখ আবদুল্লাহও (Farooq Abdullah)। সম্প্রতি কাশ্মীরে দেখা গিয়েছে নতুন করে প্রচুর পরিমাণ সেনা মোতায়েন হতে। যা নির্বাচনের জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারেন দিলীপ ঘোষ? জল্পনায় রাজ্যের একাধিক সাংসদের নাম]

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল মেহবুবা মুফতির (Mehbooba Mufti) সরকারের উপর থেকে বিজেপি সমর্থন প্রত্যাহার করার পর থেকেই কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে। এরপর ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর উপত্যকার পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদাও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস বিলের মাধ্যমে পুরো রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়া হয়। জম্মু ও কাশ্মীর মিলিয়ে একটি এবং লাদাখ এলাকা মিলিয়ে আরেকটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি হয়। এর মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলেও, এর পৃথক বিধানসভা থাকবে বলে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। অনেকটা দিল্লি এবং পুদুচেরির ধাঁচে চলবে জম্মু ও কাশ্মীরের শাসন ব্যবস্থা। যদিও, ২০১৯ সালের পরে এখনও জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের পথে পা বাড়ায়নি কেন্দ্র। এই প্রথম উপত্যকায় নির্বাচনের জল্পনা শোনা যাচ্ছে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ