Advertisement
Advertisement

Breaking News

Russia-Ukraine War

ভালবাসার টানে, পোষ্যকে সঙ্গে নিতে অবলীলায় ব্যাগপত্র ফেলে এলেন ইউক্রেন ফেরত তরুণী

প্রিয় পোষ্যের জন্য তাঁর স্বার্থত্যাগ দেখে বিস্মিত সকলে।

Chennai Student delays departure, forgo luggage to bring pet dog from Ukraine। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:March 6, 2022 8:31 pm
  • Updated:March 6, 2022 8:31 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে পেরিয়ে গিয়েছে ১০ দিন। ১১ দিনে পা রেখেছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)। লাগাতার রুশ (Russia) হামলায় বিধ্বস্ত কিয়েভ-সহ ইউক্রেনের বহু শহর। এই অবস্থায় সেখানে ভারতীয়রা, যাঁদের অধিকাংশই পড়ুয়া, একে একে ফিরে এসেছেন দেশে। ইতিমধ্যেই অধিকাংশই ভারতে পৌঁছেও গিয়েছেন। সেই দলেরই একজন কীর্তানা। চেন্নাইয়ের বাসিন্দা এই পড়ুয়া ইউক্রেন ছেড়েছেন তাঁর পোষ্যকে নিয়ে। তবে সেজন্য অনেকখানি স্বার্থত্যাগ করতে হয়েছে তাঁকে।

কী সেই স্বার্থ? রীতিমতো প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই অতিরিক্ত তিন-চারদিন ইউক্রেনে আশ্রয় নিতে হয়েছিল কীর্তানাকে। কেননা অনুমতি মিলছিল না প্রাণাধিক প্রিয় কুকুর ‘ক্যান্ডি’কে সঙ্গে রাখার। শেষমেষ নিজের লাগেজ সেদেশে ফেলে রেখে তবে মিলেছে কাঙ্ক্ষিত অনুমতি। দেশে ফিরে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এমনটাই জানাচ্ছেন ওই তরুণী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রথম টেস্টে হেলায় লঙ্কাজয় ভারতের, কপিল দেবের রেকর্ড ভাঙলেন অশ্বিন]

ঠিক কী বলেছেন কীর্তানা? তাঁর কথায়, ”আমাকে বহু উড়ান বাতিল করতে হয়েছিল। কেননা প্রাথমিক ভাবে অনুমতি মিলছিল না পোষ্যকে সঙ্গে রাখার। ফলে অতিরিক্ত ২-৩ দিন আমাকে সেখানে থাকতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দূতাবাস থেকে ফোন পাই। আমাকে অনুমতি দেওয়া হয় ওকে সঙ্গে রাখার।”

Advertisement

তবে এর জন্য তাঁকে ছা়ড়তে হয়েছিল তাঁর লাগেজ। কীর্তানা বলছেন, ”আমাকে বলা হয়েছিল, ওই ছোট্ট কুকুরছানাকে সঙ্গে রাখতে হলে আমাকে আমার লাগেজ ত্যাগ করে দিতে হবে। আমি জানিয়ে দিই, তাই হবে। আমার কাছে আমার পোষ্য আমার লাগেজের থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”

[আরও পড়ুন: তুমুল অশান্তির মাঝেও IMA’র নির্বাচনে জয়ী নির্মল মাজি, কারচুপির অভিযোগ বিরোধীদের]

যেখানে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে যে করে হোক বেরিয়ে এসে বাড়ি ফেরার বিমান ধরতে চাইছেন আটকে পড়া ভারতীয়রা, সেখানে প্রিয় পোষ্যের জন্য কীর্তানার এহেন কীর্তিতে বিস্মিত সকলে। তবে যুদ্ধের কোনও ভয়ংকর অভিজ্ঞতা তাঁকে সহ্য করতে হয়নি। তামিলনাড়ুর বাসিন্দা তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি ছিল ইউক্রেনের সীমান্তে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ