Advertisement
Advertisement

পড়ুয়াদের পরীক্ষাভীতিই ভিলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে সরলীকরণের উদ্যোগে যোগী প্রশাসন

নকলের সুযোগ নেই, পরীক্ষার হলে গেল না ১০ লক্ষ পড়ুয়া।

Chief Minister Yogi made a case for making tests simpler for student
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 11, 2018 5:59 pm
  • Updated:September 12, 2023 6:31 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পড়ুয়াদের পরীক্ষা ভীতি কাটাতে উদ্যোগ নিলেন যোগী আদিত্যনাথ। বোর্ডের পরীক্ষায় নকল করার সুযোগ থাকবে না। থাকবে কড়া প্রহরা। এই খবর প্রচার হতেই গত চারদিনে ১০ লক্ষ পরীক্ষার্থী হলমুখো হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রের এহেন পরিস্থিতি দেখে সবিশেষ উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পড়ুয়ারা পড়তে না চাইলেও কি নিয়ম কঠোর থাকবে? তাতো নয়। তাই পড়ুয়াদের পরীক্ষা সংক্রান্ত ভীতি তাড়াতে উদ্যোগ নিলেন যোগী আদিত্যনাথ।

[অবিশ্বাস্য! পাক জঙ্গির গুলি হজম করেও সুস্থ কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন প্রসূতি]

Advertisement

এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যখন নকল রোধে কড়া প্রহরার পরীক্ষার আয়োজন হল, তখন ১০ লক্ষ পড়ুয়া পরীক্ষা দিতেই এল না। আমি জানি না ভবিষ্যতে কী হবে ? ‘ তবে ইতিবাচক দিকটিও খুঁজে দিয়েছেন নিজেই। বলেছেন, পড়ুয়াদের পরীক্ষা সংক্রান্ত ভীতি কমাতে একযোগে উদ্যোগ নিতে হবে অভিভাবক ও শিক্ষকদের। শিক্ষা সংক্রান্ত জটিলতা থেকে পড়ুয়াদের উদ্ধার করতে একমাত্র তাঁরাই পারেন। সেজন্য প্রাথমিক দাওয়াই বাতলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রচিত ‘এগজাম ওয়ারিয়র্স’ নামের ইংরেজি বইটির হিন্দি সংস্করমে নির্দেশ দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ। এই বইটিই রাজ্যের পড়ুয়ামহলের পরীক্ষা ভীতি দূর করতে পারবে. এমনটাই তাঁর ধারণা। লেখক প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সহজ সরলভাবে পরীক্ষাভীতি দূরীকরণের বিষয়ে ব্যাখ্যা করেছেন। এতে ছাত্রছাত্রীদের উপকারই হবে। সেই সঙ্গে শিক্ষক, অভিভাবকদেরও নিতে হবে গুরু দায়িত্ব।

Advertisement

উল্লেখিত দায়িত্বের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কনওয়ার যাত্রার উদাহরণ টেনেছেন গেরুয়া বসনের মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, গাজিয়াবাদ হরিদ্বার রুটের এই কনওয়ার যাত্রা শুধু ধর্মীয় যাত্রাই নয়। এটি একটি সুপ্রসিদ্ধ পুণ্যের যাত্রা। গতবছরই প্রায় চার কোটি পুণ্যার্থী এই যাত্রায় সামিল হয়েছিলেন। বার্ষিক ধর্মীয় যাত্রায় ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা। এমনটাই খবর ছিল তাঁর কাছে। রাজ্য প্রশাসনের তরফে থেকে পুণ্যার্থীদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি হয়। বলা হয়, ধর্মীয় যাত্রাপথে ঘণ্টা, শঙ্খ, মাইকের ব্যবহার করা যাবে না। কেন না বেশকিছু স্পর্শকাতর এলাকা থেকে যাবে পুণ্যার্থীদের মিছিল। এর জেরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এহেন নির্দেশিকার খবর পেয়েই বেঁকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। নিজেই সুপ্রিমকোর্ট যখন, শঙ্খ-ঘণ্টা ধ্বনিতে অনুমতি দিয়েছে, তখন কানওয়ার যাত্রাপথে এসব বাজবে। এর ফলে অপ্রীতিকর ঘটনা তো ঘটবেই না। বরং এই ধ্বনির মধ্যে দিয়ে যাত্রী পথের বাসিন্দাদের আহ্বান জানানো হবে। উৎসাহিত করা হবে। এরপরে নির্বিঘ্নেই মিটেছিল কানওয়ার যাত্রা। এই উদাহরণ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারের তরফে বাধা তৈরি হচ্ছিল। তিনি  নিজে সেই বাধা কাটিয়ে দেন। একই ভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রের যে ভয় পড়ুয়াদের তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে, তা কাটাতে উদ্যোগ নিতে হবে অভিভাবক ও শিক্ষকদের। তাহলেই কাটবে পরীক্ষাভীতি।

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, গত ১০ মাসে বৃত্তিমূলক বিভাগে ৬ লক্ষ পড়ুয়ার নাম নথিভূক্ত হয়েছে। তারমধ্যে আড়াই লক্ষ পড়ুয়া কৃতকার্য হয়েছেন। দেড় লক্ষ পড়ুয়া ইতিমধ্যেই চাকরি পেয়েছেন। যাঁদের মাসিক বেতন ১৫ হাজার থেকে ৪০ হাজারের মধ্যে।

[গেরুয়া ঘেঁষা রাজনীতি ছাড়লে জোট সম্ভব, রজনীকে বার্তা কমলের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ