Advertisement
Advertisement

Breaking News

Ladakh

ফের আগ্রাসী চিন, লাদাখ সীমান্তের কাছে মোতায়েন রাডারে ‘অদৃশ্য’ যুদ্ধবিমান

হোটান বায়ুসেনা ঘাঁটিতে মোতায়েন 'H-20' বোমারু বিমান।

China tests stealth bomber H-20’s capabilities opposite Ladakh | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:June 14, 2021 4:34 pm
  • Updated:June 14, 2021 4:34 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে (Ladakh) ধাক্কা খেলেও শিক্ষা হয়নি চিনের। সীমান্তে ফের আগ্রাসী গতবিধি শুরু করেছে কমিউনিস্ট দেশটি। এবার সাউথ ব্লকের উদ্বেগ বাড়িয়ে লাদাখের কাছেই অত্যাধুনিক স্টেলথ যুদ্ধবিমানের পরীক্ষামূলক উড়ান সম্পন্ন করেছে লালফৌজ বলে খবর।

[আরও পড়ুন: ভারতের দাবি উড়িয়ে অধিকৃত কাশ্মীরে নির্বাচন ঘোষণা পাকিস্তানের, ২৫ জুলাই ভোটগ্রহণ]

জানা গিয়েছে, পূর্ব লাদাখের কাছে শিনজিয়াং প্রদেশের হোটান বিমানঘাঁটি থেকে আকাশে পাড়ি দিচ্ছে লালফৌজের ‘H-20’ বোমারু বিমান। জুনের ৮ তারিখ থেকেই শুরু হয়েছে এই পরীক্ষা নিরীক্ষা। তা চলবে জুনের ২২ তারিখ পর্যন্ত। এই স্টেলথ বিমানটি ট্রায়ালের অন্তিম পর্যায়ে রয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, কারাকোরাম পাসের উত্তর-পূর্বে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে চিনের হোটান বায়ুসেনা ঘাঁটি। লাদাখের প্যাংগং হ্রদের ৪ নম্বর ফিঙ্গার এলাকা থেকে ওই বিমানঘাঁটির দূরত্ব মাত্র ৩৮০ কিলোমিটার। ফলে রাডারে প্রায় অদৃশ্য ‘H-20’ বোমারু বিমানের মহড়ায় রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা মহলে। বিশ্লেষকদের মতে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই চিনা সেনাবাহিনীতে শামিল হয়ে যাবে এই যুদ্ধবিমানটি। মূলত, ভারতের অত্যাধুনিক রাফালে ফাইটার জেটগুলির মোকাবিলায় এই নয়া যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে চলেছে বেজিং।

Advertisement

কয়েকদিন আগেই লাদাখ সীমান্তের কাছেই বড়সড় মহড়া চালিয়েছে চিনের বায়ুসেনা। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, লাদাখে সীমান্তের ওপারে অন্তত ২২টি চিনা যুদ্ধবিমান মহড়া চালায়। এর মধ্যে বেশ কিয়েকটি ছিল ‘J-11’ যুদ্ধবিমান যা আদতে সুখোই-২৭ বিমানের আদলে তৈরি। এছাড়া, সামরিক মহড়ায় অংশ নেয় লালফৌজের J-16 যুদ্ধবিমানগুলিও। জানা গিয়েছে, আধুনিকীকরণের পর হুটান, গারিগুনসা ও কাশগড় বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে আকাশে পাড়ি দেয় চিনা যুদ্ধবিমান। এদিকে, লালফৌজের এই আগ্রাসী কার্যকলাপের উপর কড়া নজর রেখেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। কোনওভাবেই দেশের সুরক্ষা নিয়ে গাফিলতি হবে না বলে জানিয়েছে সেনা। বিশ্লেষকদের মতে, গত বছর গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ ধাক্কা খেয়েছে চিন। কয়েক দশকের অবস্থান পালটে নয়াদিল্লি যে এমন মারমুখী হয়ে উঠবে, তা ভাবতে পারেনি বেজিং।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মাত্র এক ভোটে পরাজয়, ইজরায়েলে বিদায় নেতানিয়াহুর, নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ