সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে ভারত-পাক বিনিময় বাণিজ্য চালু করা হয়। কিন্তু এখন সেই বিনিময় বাণিজ্যকে কাজে লাগিয়ে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে টাকা ঢালছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে এই বিনিময় বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে সুপারিশ করতে চলেছে NIA।
[ফের কাশ্মীরে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, হত ১ মহিলা]
২০০৮ সালে ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে কাশ্মীর ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে এই বিনিময় বাণিজ্য শুরু হয়। উদ্দেশ্য ছিল, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা। জানা গিয়েছে, এখন সালামাবাদ ও চক্কন দা বাগ ট্রেড ফেসিলিটি সেন্টারগুলি থেকে এই বিনিময় বাণিজ্য নিয়ন্ত্রিত হয়। ২১টি পণ্য নিয়ে চলে বাণিজ্য। তদন্তের এনআইএ আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হওয়া তো দুর অস্ত, এই বিনিময় বাণিজ্যকে হাতিয়ার করেই কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে টাকার জোগান দিচ্ছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসারী। সবচেয়ে বড় কথা, এই বিনিময় বাণিজ্যের জন্য মার খাচ্ছে শাল, ডালের মতো অন্যান্য পণ্যের ব্যবসাও। এনআইএ-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিনিময় বাণিজ্য সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তির শর্ত মানছে না পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রণরেখার দু’দিকের ব্যবসায়ীরাই কাশ্মীরে মাফিয়া ও সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করছে। তাই সঠিকভাবে নজরদারি ব্যবস্থা যদি তৈরি করা না যায়, তাহলে এই বিনিময় বাণিজ্য চালু রাখার কোনও প্রয়োজন নেই।
[বড়সড় সাফল্য কাশ্মীরে, সেনার গুলিতে নিহত দুই শীর্ষ লস্কর জঙ্গি]
বস্তুত, গত প্রায় সাত মাস ধরে এই বিনিময় বাণিজ্যের সঙ্গে ৩০০ জন ব্যবসায়ীর ব্যবসা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি পরীক্ষা করে দেখেছেন এনআইএয়ের আধিকারিকরা। গত একমাসে কাশ্মীরের বেশ কয়েকজন হাওয়ালা কারবারি, বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার পাশাপাশি, বিনিময় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের বাড়িতেও তল্লাশি হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, এই বিনিময় বাণিজ্যকে ব্যবহার করে হাওয়ালা মারফত উপত্যকায় কয়েক কোটি টাকা ঢুকেছে। আর সেই টাকা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ও বিক্ষোভে ইন্ধন দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
[সেনার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য, জোড়া এফআইআর আজম খানের বিরুদ্ধে]
এনআইএয়ের দাবিকে সমর্থনকে করেছেন জম্মু চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টিজের সভাপতি রাজেশ গুপ্তা। তিনি বলেন, ’আমরা দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেন চালু করার চেষ্টা করছি। কিন্তু পাকিস্তানের জন্যই সেটা সম্ভব হচ্ছে না। সীমান্তের ওপার থেকে হাওয়ালা মারফত কাশ্মীরে যাতে টাকা আসতে না পারে, সেটা সরকারের দেখা উচিত।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.