সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিযোগ দায়ের হল দলিত নেতা জিগনেশ মেওয়ানি ও জেএনইউ-র ছাত্রনেতা উমর খালিদের বিরুদ্ধে। পুণের ডেকান জিমখানা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অক্ষয় বিক্কার ও আনন্দ ধন্দ নামের দুই স্থানীয় ব্যক্তি। অভিযোগ, জিগনেশ ও খালিদ ভীমা কোরেগাঁও যুদ্ধের ২০০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে উসকানিমূলক বক্তব্য রেখেছেন। যার ফলে ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শত্রুতার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। তাঁদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই জনতা পথে নামলে শহরে উত্তেজনা ছড়ায়।
[২৫ ঘন্টা দেরিতে পৌঁছল রাজধানী এক্সপ্রেস, খাবারের অভাবে যাত্রী বিক্ষোভ চরমে]
জিমখানা পুলিশের তরফে অভিযোগটি নেওয়া হয়েছে।যদিও ৩১ ডিসেম্বর ভীমা কোরেগাঁও যুদ্ধের ২০০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান হচ্ছিল শনিবারওয়াড়ায়। সেখানে এলগার পরিষদের অনুষ্ঠানে যোগ দেন উমর খালিদ ও জিগনেশ মেওয়ানি। তাই জিমখানা থানায় করা অভিযোগ বিশ্রামবাগ থানায় স্থানান্তর করা হবে। বিশ্রামবাগ থানার অধীনেই পড়ছে শনিবারওয়াড়া। অভিযোগ পরবর্তী পদক্ষেপ সেখান থেকেই নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ভীমা কোরেগাঁও যুদ্ধের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের ডানপন্থী শাখার সমর্থকদের সঙ্গে দলিত সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় এক দলিত সমর্থকের মৃত্যুও হয়। অনুষ্ঠান স্থল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের কোরেগাঁওয়ের যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ অভিমুখে জনতা যেতে শুরু করলেই সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। এই ভীমা কোরেগাঁও যুদ্ধকে দৃঢ়তার প্রতীক হিসেবে স্মরণ করে দলিত নেতৃত্ব। কেননা সেই যুদ্ধে জয়লাভ করেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সৈন্যরা। আর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনেই ছিল মাহার সম্প্রদায়ের সৈন্য। মাহার সম্প্রদায় প্রধানত দলিত শ্রেণিভুক্ত। অন্যদিকে যুদ্ধে হেরে যাওয়া মারাঠারা ব্রাহ্মণ। এক্ষেত্রে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জয়কে নিজেদের জয় হিসেবেই দেখে দলিতরা।
[দুর্ঘটনাগ্রস্ত বায়ুসেনার মিগ-২৯, অল্পের জন্য প্রাণরক্ষা চালকের]