বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার সাফল্যে ভর করে দেশজুড়ে নতুন কর্মসূচি নিচ্ছে কংগ্রেস। দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) যে স্টিয়ারিং কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন, রবিবার ছিল সেই স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম বৈঠক। তাতেই সিদ্ধান্ত হয়েছে ‘ভারত জোড়ো’ (Bharat Jodo) যাত্রার পর দলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দেশজুড়ে ‘হাত সে হাত জোড়ো’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ হচ্ছে জানুয়ারিতে। জানুয়ারিতেই নতুন এই কর্মসূচি শুরু হয়ে যাবে।
Congress Steering Committee, chaired by Congress President Shri @Kharge and Chairperson CPP Smt. Sonia Gandhi, met at AICC HQ. pic.twitter.com/xI13otPuMV
— Congress (@INCIndia) December 4, 2022
আসলে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা‘ (Bharat Jodo Yatra) কংগ্রেসের জন্য অনেকাংশে মৃত সঞ্জীবনীর মতো কাজ করছে। নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া বা ঘরে বসে যাওয়া কংগ্রেস কর্মীরা ফের রাস্তায় নামছেন। তাতেই ফের উৎসাহী হাত শিবির। কর্মীদের সেই উৎসাহকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে আসরে নামছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা ছিল অরাজনৈতিক। এবার পুরোপুরি নিজেদের ব্যানারেই নতুন যাত্রা বের করতে চলেছে হাত শিবির।
[আরও পড়ুন: বিদ্রোহের জেরে নতিস্বীকারের ইঙ্গিত! হিজাব আইন পর্যালোচনা শুরু ইরানে]
কী এই ‘হাত সে হাত জোড়ো’ যাত্রা? কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ভারত জোড়ো’র মতো কেন্দ্রীয় স্তরে নয়। ভারত জোড়ো যাত্রা হবে একেবারে ব্লকস্তরে। দলের ব্লকস্তরের কর্মীরা ছোট ছোট মিছিল করবেন। প্রতিটি ব্লকে পাঠানো হবে রাহুল গান্ধীর সই করা চিঠি। এবং বিজেপির মোদি (Narendra Modi) সরকারের বিরুদ্ধে চার্জশিট। সরকারের ব্যর্থতাকে একেবারে সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়াটাই মূল লক্ষ্য কংগ্রেসের (Congress)। বলা হচ্ছে, ২০২৪ এর আগে দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে পারে কর্মসূচি। যুব সমাজকে টার্গেট করা হচ্ছে এই যাত্রায়।
[আরও পড়ুন: ‘বাড়ছে সংক্রমণ, তবু বিদেশি টিকাতে ‘না’ জিনপিংয়ের’, চিনের সমালোচনা আমেরিকার]
স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। আগামী ফেব্রুয়ারিতে দলের তিম্ন দিনের প্লেনারি সেশনের আয়োজন হবে ছত্তিশগড়ের রায়পুরে। বিধিমতো এই প্লেনারি সেশনেই বেছে নেওয়া হবে কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটি বা কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির। গোটা দেশের এআইসিসি (AICC) সদস্যরা ওই প্লেনারি সেশনে হাজির থাকবে। সেখানে থেকেই ঠিক হয়ে যাবে আগামী দিনে দল কোন পথে চলবে।