Advertisement
Advertisement

Breaking News

দেশভাগের জন্য দায়ী কংগ্রেস, সংসদে বেনজির আক্রমণ মোদির

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীন এদিন সংসদ সরগরম হয় বিরোধীদের হট্টগোলে।

Congress responsible for India’s partition: PM Narendra Modi
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 7, 2018 12:49 pm
  • Updated:February 7, 2018 4:06 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে এদিন তুমুল বিরোধিতার মুখে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীদের সমবেত প্রতিবাদের মুখে গোড়ার দিকে তাঁকে প্রায় কিছু বলতেই দেওয়া হয়নি। যদিও হট্টগোল সত্ত্বেও বক্তৃতা থামাননি মোদি। বরং চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানান কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।

[  ভয়াবহ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী, মৃত ১ ]

Advertisement

এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে মোদি বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণ কোনও দলের হতে পারে না। সেখানে রাজনীতির রং দেখা অর্থহীন। স্রেফ বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করা অনুচিত। এ কথা বলা মাত্রই শোরগোল পড়ে যায়। তুমুল প্রতিবাদ শুরু করেন বিরোধীরা। হই হট্টগোলের মধ্যেই কংগ্রেসকে নিশানা করে মোদি বলতে থাকেন, আপনাদের কৃতকর্মের জন্যই দেশের এই অবস্থা। ভোটের লোভে দেশকে ভাগ করা হয়েছে। তার ফল আজও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। সুতরাং আজকে কংগ্রেসের এই বিরোধিতা সম্পূর্ণ যুক্তিহীন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের জন্য জরুরি সংযম। তিনি জানান, বাজপেয়ী সরকার তিনটি নতুন রাজ্য গঠনে উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু তা যে কতটা যুক্তিপূর্ণ আজ তা বোঝা যাচ্ছে। অন্যদিকে কংগ্রেস স্রেফ নিজেদের আখের গোছাতেই দেশভাগ করেছিল বলে আজ তীব্র আক্রমণ শানান মোদি। কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম করেই তিনি বলেন, কর্নাটকে ভোটের পর খাড়গে আর থাকবেন তো? এটাই তাঁর বিদায়ী ভাষণ হচ্ছে না তো?

Advertisement

হট্টগোলের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী বলতে থাকেন, একসময় দেশে এত সংবাদমাধ্যম ছিল না। এত জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হত না। রেডিও-টিভিতে অহরহ চলত কংগ্রেসের গুণগান। একটা পরিবারের গুণ গাইতেন সকলে। দেশে পরিবারতন্ত্র কায়েম হয়েছিল। কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে তাঁই তাঁর মন্তব্য, এঁদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। তাঁর দাবি, গণতন্ত্রে বীজ সভ্যতার অন্দরেই ছিল। নেহেরু বা কংগ্রেস দেশে গণতন্ত্র আনতে পারেনি। দেশ যে এত পিছিয়েছে তার জন্য কংগ্রেসকেই দায়ি করেন তিনি। সঠিক দিশা থাকলে দেশ আরও এগোতে বলে বিশ্বাস তাঁর। এমনকী তিনি জানান বল্লভভাই প্যাটেল প্রধানমন্ত্রী হলে কাশ্মীর নিয়ে এই সমস্যা তৈরি হত না। তাঁর আরজি, বিভাজনের এই রাজনীতি এবার বন্ধ হোক। গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকুক সর্বত্র। তাঁর ভাষণ চলাকালীন তীব্র হট্টগোল চলে সংসদে। বিরোধীরা স্লোগান দিয়ে তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী নিজের বক্তব্য ও বক্তৃতা থেকে সরেননি। উল্লেখযোগ্যভাবে এদিন মোদি বিরোধিতায় শামিল হয় টিডিপি নেতারাও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ