Advertisement
Advertisement

৫০ হাজারে মিলছে নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সার্টিফিকেট, চক্রের পর্দাফাঁস

ভুয়ো সার্টিফিকেটেই চাকরি বহু মানুষের।

Cops bust fake degree racket, suspects nabbed
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 30, 2018 3:11 pm
  • Updated:January 30, 2018 3:11 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেল কড়ি নাও সার্টিফিকেট। রমরমিয়ে চলছিল জাল কারবার। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট চাই। সম্বলপুর, এলাহাবাদ, সিকিম কিংবা কর্নাটক মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, যে যেমন চায় তার কাছে অর্ডারমাফিক তেমনই চলে আসবে ঝকঝকে সার্টিফিকেট। সম্প্রতি পর্দাফাঁস হল এই জাল চক্রের।

[ বহুতল থেকে শিশুর উপরে আছড়ে পড়ল মদ্যপ যুবক ]

Advertisement

রীতিমতো ধোঁকা দিয়েই চলছিল এই অসাধু চক্র। তিন মাথা ছিল পুরো চক্রের পিছনে। পঙ্কজ অরোরা, পি সিং ওরফে সোনু এবং গোপাল কৃষ্ণ। এর মধ্যে পঙ্কজ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। প্রত্যেকেরই বয়স তিরিশ থেকে চল্লিশের মধ্যে। রীতিমতো আটঘাট বেঁধেই এ কাজ শুরু করেছিল তারা। খোলা হয়েছিল শিক্ষমূলক একটি সংস্থা। সেই সংস্থার তরফেই কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হত। বলা হত, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট পাওয়ার বন্দোবস্ত করে দেবে সংস্থা। বিজ্ঞাপনের সঙ্গে দেওয়া হত বিশেষ কিছু ওয়েবসাইটেরও হদিশ। তা দেখে গ্রাহকরা মিলিয়ে নিতে পারতেন এ সংস্থা কোনওভাবেই জাল হতে পারে না। এভাবে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেই চলত ভুয়ো কার্যকলাপ। রাজস্থানের বাসিন্দা বিজয় কুমারের খটকা লেগেছিল। একটি সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য তিনি ওই সংস্থার দ্বারস্থ হন। জানানো হয়, লাখখানেকের একটু বেশি টাকা দিলেই তা পাওয়া যাবে। এসবই অবশ্য পরীক্ষার ফিজ ইত্যাদির নামে চাওয়া হয়েছিল। এবং দিনকয়েকের মধ্যে ঝকঝকে সার্টিফিকেটও এনে হাজির করে সংস্থা। সার্টিফিকেট দেখে চোখ কপালে ওঠে ওই ব্যক্তির। কেননা বোর্ডের নামে যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে তাঁর ও তাঁর বন্ধুদের পড়াশোনার কোনও সম্পর্কই নেই। কেননা তাঁরা পরীক্ষায় বসেননি। তাহলে কী করে এই সার্টিফিকেট এল? এরপর ওই সার্টিফিকেট নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে গেলে তা জাল বলে দেওয়া হয়। সে কথা শুনেই পুলিশে অভিযোগ জানান ওই ব্যক্তি।

Advertisement

শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় মদত রাজীব গান্ধীর, বিস্ফোরক অভিযোগ অকালি নেতার ]

জানা যাচ্ছে, ২০০১-২০০২ থেকেই এই চক্রের শুরু। এতদিন ধরে সার্টিফিকেট জোগাড় করে দেওয়ার নামে ভুয়ো শংসাপত্র তুলে দিয়েছে সংস্থাটি। এবং তা দেখিয়ে বহু মানুষ চাকরিও পেয়েছেন। পর্দাফাঁস হতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিন ব্যক্তিকে। সিল করা হয়েছে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। কিন্তু যাঁরা এই ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে চাকরি পেয়েছেন ও করছেন তাঁদের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এই ঘটনায় সে প্রশ্নই উঠে গেল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ