সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিন আগেই গো-রক্ষকদের কাজের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। এমনকী অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত বলে গো-রক্ষকদের কটাক্ষও করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যের পর গো-হত্যায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে তাঁরই দ্বারস্থ হল কর্ণাটকের গো-রক্ষক দল।
ওবামার কায়দায় শনিবার জনতার দরবারে হাজির হয়েছিলেন মোদি। সেখানেই গো-রক্ষকদের তুমুল সমালোচনা করেন তিনি। বিশেষত গুজরাতের উনায় গো-রক্ষকদের হাতে দলিত নিগ্রহে বিজেপির নাম জড়ানো ও কেন্দ্র সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর, এই প্রসঙ্গে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি তিনি। স্বঘোষিত গো-রক্ষকরা যে অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত এমন মন্তব্যই করেন তিনি। এমনকী গো-রক্ষক ও গো-সেবকরা যে আলাদা, সে কথা তুলে ধরে, গো রক্ষার নামে কোনও রকম ভুল কাজ রেয়াত করা হবে না বলেও জানান তিনি। রাজ্য প্রশাসনকে এ ব্যাপারে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেন মোদি।
প্রধানমন্ত্রীর এ হুঁশিয়ারির পরই কার্যত সতর্ক হয়ে যায় বিভিন্ন গো-রক্ষক বাহিনী। প্রশাসনের কোপ এড়াতে এবার খোদ প্রশাসনেরই দ্বারস্থ হল তারা। পথ দেখাল কর্ণাটকের এক গো-রক্ষক দল। গো-হত্যায় শাস্তির বিধান চেয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকেই চিঠি লিখল তারা। দলটির মতে, গো-হত্যায় শাস্তি সংক্রান্ত আইন সারা দেশে বলবৎ করা উচিত।
গো-রক্ষকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কড়া মনোভাব সামনে আসার পরও অবশ্য চলছিল বিরোধিতা। কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয় যে, বিজেপির পরোক্ষ মদতেই এ কাজ করার সাহস পাচ্ছে গো-রক্ষক বাহিনী। যেভাবে কর্ণাটকের গো-রক্ষক দল মোদির দ্বারস্থ হল তাতে, বিজেপির তথা বিজেপি সরকারের প্রতি তাদের আস্থা প্রমাণিত। কংগ্রেস নেত্রী শিলা দিক্ষীত বিজেপির ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, গরু রক্ষা আমাদের কর্তব্য। বিজেপি গরু পুজো করে, কিন্তু রক্ষা করতে পারে না। আর তাই গো-রক্ষকদের বাড়বাড়ন্ত বলে মনে করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.