সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমস্যা ছিল। কিন্তু আর নেই। সব মিটে গিয়েছে। ‘কাহিনি খতম’। সুপ্রিম বিদ্রোহের এটাই সারাৎসার। নজিরবিহীনভাবে সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন চার বিচারপতি। তবে ঘরোয়া বৈঠকেই তার সমাধান হয়েছে বলে সোমবার দাবি করলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। একই ইঙ্গিত বার কাউন্সিলেরও।
[ এবার জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগ উঠল পুলিশের পরিবারের বিরুদ্ধেই ]
আজ চার বিচারপতিই তাঁদের নির্দিষ্ট কাজে যোগ দিয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল সমস্যার কথা প্রায় উড়িয়ে দিয়েই জানিয়েছেন, ওসব কিছু নেই। যা ঝামেলা ছিল নিজেদের মধ্যে তা মিটিয়ে নিয়েছেন বিচারপতিরা। তাঁর মন্তব্য, ‘যা হয়েছিল তা নেহাতই চায়ের কাপে তুফান মাত্র।’ একই মত বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনন কুমার মিশ্রেরও। তাঁরও দাবি, ‘সমস্যা সব মিটে গিয়েছে। গল্প শেষ।’
[ রাহুল রাম, রাবণ মোদি: আমেঠিতে কংগ্রেস সভাপতির সফরে পোস্টার বিতর্ক ]
গত ১২ জানুয়ারী প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন চার বিদ্রোহী বিচারপতি। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বিচারকদের স্বাধীন কাজে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। কোনও কোনও মামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিশেষ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি। এ নিয়ে তাঁরা চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে সমক্ষে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন। স্বাধীনতাত্তোর ভারতের ইতিহাসে এই বিদ্রোহ ছিল নজিরবিহীন। দেশের মানুষের কাছে সুপ্রিম কোর্ট শেষ ভরসাস্থল। সেখানেও বিদ্রোহ দেশের বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল। এরকম পরিস্থিতি তৈরি হতেই সাত সদস্যের এক প্রতিনিধি দল তৈরি করে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। তাঁরা বিদ্রোহী বিচারপতি-সহ বাকিদের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে কথা বলেন। প্রধান বিচারপতিও এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেন। সমস্যা মিটে যাবে বলেই আশ্বাস দেন। আজ সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই বিচারকরা নিজেদের মধ্যেও এ ব্যাপারে কথা বলে নেন। সেই বৈঠকেই সব সমস্যায় ইতি পড়ে বলে জানা গিয়েছে। বার কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম হচ্ছে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে যা সমস্যা ছিল তা মিটে গিয়েছে।
[ অনুপ্রবেশ বন্ধ না করলে পাকিস্তানকে চূড়ান্ত শিক্ষা দেব, হুঁশিয়ারি রাওয়াতের ]
বস্তুত এই বার্তা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি ছিল। সুপ্রিম কোর্টের উপর মানুষের আস্থা উঠে গেলে গণতন্ত্রের পক্ষে সমূহ বিপদ হয়ে তা দেখা দিত। এদিকে বিরোধীরাও বিদ্রোহী বিচারকদের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছিলেন। বিচারেও রাজনীতি ঢুকলে আখেরে তা দেশের পক্ষে মন্দ হত। তাই তড়িঘড়ি সমস্যা মিটিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের অন্দরের স্বচ্ছ ছবিটিই তুলে ধরতে উদ্যোগী হয়েছিল বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। এদিন সে উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। বিচারব্যবস্থার স্বাভাবিক রূপ ফিরে পেয়ে স্বস্তিতে দেশবাসীও।
[ ফিরল নির্ভয়ার স্মৃতি, কিশোরীকে গণধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে অস্ত্র ঢুকিয়ে খুন ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.