সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মনোহর পারিকর প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন বিষয়টি নিয়ে প্রথম ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়। অরুণ জেটলি যখন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন, তখন সেই প্রস্তাব বাস্তবায়নের পথে অনেকটাই এগিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, এবার কী হবে? দেশের প্রথম পূর্ণ মেয়াদের মহিলা প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ কি মহিলা জওয়ানদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর প্রস্তাব বাস্তবায়িত করবেন? কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের ২৪ ঘন্টা পর আপাতত এই প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন, কোনও দয়া-দাক্ষিণ্য নয়, বরং খোলা মনেই শত্রু নিধনে মহিলা সেনা জওয়ানদের পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করবেন তিনি।
[মন্ত্রিসভার রদবদলে সবথেকে বড় চমক নির্মলা সীতারমণ]
এখন ভারতীর সেনাবাহিনীতে নিযুক্ত মহিলারা চিকিৎসক, শিক্ষক, আইনজীবী, সিগন্যালিং ইনস্ট্রাক্টর ও ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু, সরাসরি যুদ্ধে মহিলা জওয়ানদের কোনও ভুমিকা থাকে না। তবে গত কয়েক দশকে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। পুরুষতান্ত্রিক খোলস ছেড়ে মহিলা জওয়ানদেরও যুদ্ধে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানির মতো প্রথম বিশ্বের অনেকই দেশ। মোদি জমানায় প্রথম সেনাবাহিনীর মহিলা জওয়ানদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন তখনকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর। কিন্তু, সেই প্রস্তাব বাস্তবায়িত করার সুযোগ পাননি তিনি। মার্চে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে নিজের রাজ্য গোয়াতে ফিরে যান মনোহর পারিকর। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের বাড়তি দায়িত্ব পান অরুণ জেটলি। তাঁর জমানায় মহিলাদের জওয়ান হিসেবে নিয়োগ ও যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো প্রক্রিয়া শুরু হয়। শত্রুকে নিকেশ করতে যুদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নেওয়ার জন্য মহিলাদের প্রস্তুত থাকার বার্তাও দিয়েছিলেন খোদ সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত।
[মায়ের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গণধর্ষণ ১১ বছরের নাবালিকাকে]
এই প্রেক্ষাপটে ফের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল। রবিবার ইন্দিরা গান্ধীর পর, দ্বিতীয় মহিলা প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নির্মলা সীতারমণ। মহিলাদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো নিয়ে তিনি কী পদক্ষেপ করেন, এখন সেদিকেই নজর সকলের। বিষয়টি খোলা মনে বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি বলেছেন, ‘জেটলিজি (অরুণ) বিষয়টি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করেছেন। আমিও ফাইলগুলি দেখতে চাই। এরআগে আমি যখন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য ছিলাম, তখনও মহিলাদের ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।’
[ওয়ানাক্রাই-এর পর এবার ভারতে ‘লকি’ আতঙ্ক, জারি সতর্কতা]
প্রসঙ্গত, ২০১৬৭ সালে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রথমবার তিনজন মহিলাকে যুদ্ধবিমান চালানোর অনুমতি দেয়। অবনী চতুর্বেদী, ভাবনা কান্থ ও মোহনা সিং এখন বায়ুসেনার ফাইটার স্কোয়াড্রনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বস্তুত, মহিলাদের যুদ্ধজাহাজে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ভারতীয় নৌসেনাও।
[৪৫ নয়, এবার ইউরোপ উড়ে যান মাত্র ১২ হাজার টাকায়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.