Advertisement
Advertisement

Breaking News

১৩ বছরের কিশোরীকে মদ্যপান করিয়ে প্রেমিককে দিয়ে ধর্ষণ করাল আত্মীয়া

মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হলেও ধর্ষক পলাতক।

Delhi: Woman forces 13-year-old niece to drink, lets her boyfriend rape the child

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 25, 2018 12:01 pm
  • Updated:October 27, 2018 5:46 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৩ বছরের কিশোরী নিজের আত্মীয়ার কাছে বেশ নিরাপদই বোধ করত। ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি পরিবারের চেনা মানুষটিই তার জীবনে এতবড় বিপদ ডেকে আনবে। নিজে একজন মহিলা হয়েই তার এমন ক্ষতি করবে। প্রেমিককে দিয়েই তার ধর্ষণ করাবে।

কাঠুয়া থেকে উন্নাও, ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। চাপের মুখে নতি স্বীকার করেছে কেন্দ্রও। ১২ বছর কিংবা তার চেয়ে কম বয়সি কিশোরীর ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা ধার্য হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। যে অর্ডিন্যান্সে সই করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতিও। কিন্তু তাতেও যে টনক নড়েনি অনেকেরই, তারই প্রমাণ মিলল। ফের ধর্ষণের ঘটনা ঘটল রাজধানী দিল্লিতে। আত্মীয়ার প্রেমিকের হাতেই এবার ধর্ষণের শিকার ১৩ বছরের কিশোরী।

Advertisement

[কংগ্রেসের হাত মুসলিম হত্যার রক্তে রাঙানো, চাঞ্চল্যকর মন্তব্য সলমন খুরশিদের]

দিল্লির শাহবাদ ডায়েরিতে রবিবার রাতের ঘটনা ফের নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। অভিযোগ, এক মহিলা তারই পরিবারের এক কিশোরীকে প্রথমে জোর করে মদ্যপান করায়। তারপর বয়ফ্রেন্ডকে ধর্ষণের অনুমতি দেয়। মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বাবা নিয়ে যান বাবাসাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে। তখনও তিনি জানেন না, মেয়ের কত বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকরাই তাঁকে খবর দেন, মেয়ে ধর্ষণের শিকার। তখনই পুলিশে খবর দেন বাবা। তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ৩০ বছরের অভিযুক্ত মহিলাকে। রোহিনির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রজনীশ গুপ্ত জানিয়েছেন, ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৩২৮ (অপরাধমূলক কাজের উদ্দেশ্যে জোর করে মদ্যপান করানো), ৫০৬ (হুমকি) এবং ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় ওই মহিলা এবং তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি পসকো আইনেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ৩০ বছরের অভিযুক্ত ধর্ষক মুকেশ পলাতক।

Advertisement

তদন্তে নেমে পুলিশ জানিয়েছে, মা বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ায় বাবার সঙ্গেই থাকত ওই কিশোরী। একই পাড়ায় থাকত অভিযুক্ত আত্মীয়া। যার সম্পর্ক ছিল মুকেশ নামের ট্রাকচালকের সঙ্গে। মা না থাকায় কিশোরীর দেখভালও করত ওই মহিলা। তার কাছে নিজের মেয়েকে নিরাপদই মনে করতেন কিশোরীর বাবা। অভিযোগ, রবিবার রাতে কিশোরীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় আত্মীয়া। তারপর আত্মীয়ার হাত ধরে কাছেই একটি জঙ্গলে পৌঁছে যায় কিশোরী। সেখানেই হাজির হয় মুকেশ। প্রথমে নরম পানীয়র মধ্যে মদ মিশিয়ে কিশোরীকে খাওয়ানোর চেষ্টা করে আত্মীয়া। কিশোরী রাজি না হওয়ায় জোর করা হয় তাকে। মহিলা ও তার বয়ফ্রেন্ডও সে সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিল। এরপরই মদ্যপ কিশোরীকে মুকেশ ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার সাক্ষী ছিল আত্মীয়া। পুলিশের ধারণা, পূর্ব পরিকল্পনা মাফিকই ধর্ষণ করা হয়েছে কিশোরীকে। ধর্ষণের পর কিশোরী একাই বাড়ি ফিরে আসে। তখনই তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান বাবা। কিশোরীর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। এদিকে মুকেশের খোঁজে বিহারে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে।

[কাস্টিং কাউচের ফাঁদ থেকে মুক্ত নয় সংসদও, বিস্ফোরক কংগ্রেস নেত্রী রেণুকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ