সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে বাঁচতে এক কাশ্মীরী যুবক জিপের সামনে বেঁধে (হিউম্যান কভার) এলাকা ছাড়া নিয়ে যতই বিতর্ক হোক না কেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী যে মেজর লিটুল গগৈ-র পাশে আছে, তা ফের বুঝিয়ে দিলেন খোদ সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। বললেন, “কাশ্মীরে এখন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একটি জঘন্য যুদ্ধ চলছে। অভিনব কায়দাতেই এই যুদ্ধ লড়তে হবে।”
[পাকিস্তানকে মোক্ষম জবাব দিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে চূড়ান্ত প্রস্তুতির ডাক জেটলির]
কাশ্মীরে পাথর নিক্ষেপকারীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সেনা। তা আটকাতেই এক অভিনব পন্থা নিয়েছিলেন মেজর লিটুল গগৈ। জিপের সামনে তিনি বেঁধে দিয়েছিলেন এক কাশ্মীরি যুবককে। তারপর সতর্ক করা হয় পুরো মহল্লাকে। এপ্রিলে মাঝামাঝি এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মেজর গগৈর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন সেনাও। কিন্তু সেই তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই পুরষ্কৃত করা হয় ওই মেজরকে। পিটিআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বলেছেন, কাশ্মীর মতো জঙ্গি অধ্যুষিত এলাকা কর্মরত সেনা অফিসারদের মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে মেজর লিটুল গগৈ-কে পুরষ্কৃত করা হয়েছে। সেনাপ্রধানের বক্তব্য, “কাশ্মীরে এখন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ চলছে। এই ছায়াযুদ্ধ হল নোংরা ধরনের যুদ্ধ। শক্র যখন সামনা-সামনি হামলা চালায়, তখন নিয়ম-কানুন মেনে যুদ্ধ করা যায়। কিন্তু ছায়াযুদ্ধ লড়তে গেলে অভিনব পন্থা অবলম্বন করতে হয়।” শুধু তাই নয়, কাশ্মীরে বিক্ষোভকারীরা পাথরের বদলে যদি সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাত, তাহলেও বিষয়টি অনেক সহজ হত বলে দাবি করেন সেনাপ্রধান।
[কারফিউ উপেক্ষা করে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পরীক্ষার্থীদের ঢল শ্রীনগরে]
তবে এবারই প্রথম নয়। এরআগেও মেজর লিটুল গগৈ-র পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সহকর্মী, নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক ও ভোটে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলি বাঁচাতেই কাশ্মীরি যুবককে জিপের সামনে বেধে (হিউম্যান কভার) এলাকা ছাড়েন মেজর গগৈ। এই কাজের জন্য কোর্ট অব এনকোয়ারি দোষী সাব্যস্ত করলেও, মেজর গগৈ-র বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না সশস্ত্র বাহিনী।