Advertisement
Advertisement

রাম রহিমের জন্মভূমিতে ক্ষুব্ধ ভক্তরা, ধর্ষক বাবার ছবি পড়ে নর্দমায়

ভক্তদের রাগের বহিঃপ্রকাশ যে এভাবেই ঘটেছে, তা স্পষ্ট।

Disgusted Dera followers flush Ram Rahim’s pic down the drain
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 1, 2017 8:44 am
  • Updated:October 1, 2019 3:33 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তার উপর বিশ্বাস ছিল অবাধ। আর সেই বিশ্বাস থেকেই তাকে ঈশ্বরের আসনে বসিয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। কিন্তু সেই বিশ্বাসে জোর ধাক্কা লাগায় এক ঝটকায় ঈশ্বরের আসন থেকে সোজা নর্দমায় গিয়ে পড়েছে ধর্ষক বাবা গুরমিত রাম রহিম সিং। হ্যাঁ, আক্ষরিক অর্থেই নর্দমায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে ভণ্ডবাবার একগুচ্ছ ছবি।

[এবার রাম রহিমের সর্বক্ষণের সঙ্গী হানিপ্রীতের বিরুদ্ধে ‘লুকআউট নোটিস’ জারি]

দুই সাধ্বীকে ধর্ষণের মামলায় কুড়ি বছর কারাদণ্ডের সাজা ভুগছে রাম রহিম। যে ব্যক্তিকে সাধারণ মানুষ নিজেদের আদর্শ বলে মনে করতেন, তাঁরা এমন সত্যি শুনে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছেন। আর তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এভাবে। রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরের প্রধান পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক দেবেন্দ্র রাঠোর জানান, শহরের নর্দমা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি দেখেন তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। না, শুকনো পাতা পড়ে বা কাদা জমে নয়, নর্দমায় পড়ে রয়েছে নাটুকে বাবার অজস্র ছবি। যাঁর ছবি ফটোফ্রেমে ভক্তদের বাড়ির দেওয়ালে ঝুলত, দু’বেলা পুজো হত, সেই সব ফ্রেমই নর্দমায় পড়ে থাকতে দেখেন দেবেন্দ্র রাঠোর। তিনি বলছেন, “মীরা চক ও সুখদিয়া সার্কেলের কাছে যে নর্দমা রয়েছে, সেটিতে জলের স্বাভাবিক প্রবাহ আটকে যাওয়ার খবর পাই। তা পরিদর্শনে গিয়ে দেখি বর্তমানে ধর্ষণের দায়ে জেলে থাকা রাম রহিমের শয়ে শয়ে ছবি পড়ে রয়েছে সেখানে। ভক্তদের রাগের বহিঃপ্রকাশ যে এভাবেই ঘটেছে, তা স্পষ্ট।” এছাড়াও জেলার বেশ কয়েকটি এলাকার নর্দমার ছবিটাও এক। নর্দমা আটকে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তাই জলপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে রাম রহিম নামক ‘জঞ্জাল’ সাফ করার কাজ শুরু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Advertisement

_4d1182a0-8ed9-11e7-a11b-07a9009e9c44

Advertisement

[জানেন, ধর্ষক রাম রহিমের নাম জড়িয়েছে পদ্ম সম্মানের সঙ্গেও?]

শ্রীগঙ্গানগর জেলার গুরুসার মুণ্ডিয়া গ্রামেই জন্মেছিল গুরমিত। এককালে তার ভাল কাজের জন্য তাকে মাথায় তুলে রেখেছিলেন ভক্তরা। আজ সহ্যের বাঁধ ভেঙেছে। আর তাই ডেরা সাচা সওদার প্রধানের প্রতিকৃতিও সরিয়ে ফেলতে চাইছেন তাঁরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ